কাল আর কোনো হতাশার খবর আসেনি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে। টাইটানসের বিপক্ষে ‘এ’ দলের একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচটা যে হলোই না এদিন! আগের দিনের বৃষ্টিতে খেলার অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছিল সেঞ্চুরিয়ন পার্ক স্টেডিয়াম। ওই রাতেই বাংলাদেশ ‘এ’ দলের টিম ম্যানেজমেন্টকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল খেলা হবে না।
আজ সফরের শেষ ৫০ ওভারের ম্যাচে শুভাগত হোম চৌধুরীর দলের প্রতিপক্ষ গোটেং স্ট্রাইকার্স। কাল পর্যন্ত এ ম্যাচটি হওয়া নিয়ে কোনো সংশয় ছিল না বলে জানিয়েছেন দলের ম্যানেজার হাবিবুল বাশার। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আগামীকালই জিম্বাবুয়ে চলে যাবে ‘এ’ দল। বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ে ‘এ’ দলের বিপক্ষে তিনটি ৫০ ওভারের ও দুটি চার দিনের ম্যাচের সিরিজ খেলবে তারা।
কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ‘এ’ দল জিম্বাবুয়েতে যা নিয়ে যাচ্ছে, তাতে সন্তুষ্ট হতে পারছেন না নির্বাচকেরা। দলের সঙ্গে থাকা হাবিবুল বাশার তো আগেই তাঁর ক্ষোভের কথা বলেছেন। ইউরোপ সফর শেষে দেশে ফেরা প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদও গোপন করেননি তাঁর হতাশা, “‘এ’ দলের খারাপ খেলা সব সময়ই হতাশার। এটা ঠিক যে দেশে খেলার চেয়ে দেশের বাইরে খেলা বেশি কঠিন। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশে বাংলাদেশের মতো দলের খেলা সহজ নয়। তবে সুযোগ পেলে তা কাজে লাগাতে না পারা অবশ্যই হতাশার।’ হাবিবুলের মতো ফারুক আহমেদের হতাশাটাও ব্যাটিং নিয়েই বেশি, “‘এ’ দলের শক্তির জায়গা ব্যাটিং। এটা খারাপ হলে হতাশা জাগা স্বাভাবিক। ব্যাটিং ভালো না হলে দুশ্চিন্তা বেড়ে যায়।’
‘এ’ দলে কাউকে সুযোগ দেওয়া মানে নির্বাচকদের ভবিষ্যৎ চিন্তায়ও তিনি আছেন। তাঁদের মধ্যে জাতীয় দলে খেলার সম্ভাবনাটা দেখতে পান নির্বাচকেরা। প্রধান নির্বাচক খেলোয়াড়দের মনে করিয়ে দিতে চাইলেন সেটাই, “‘এ’ দলে আমরা যাদের নিই, তাদের নেওয়ার পেছনে বিশেষ উদ্দেশ্য থাকে। এখন খেলোয়াড়েরা যদি সে সুযোগ কাজে না লাগায়, সেটা দুঃখজনক।’