আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের কেউ বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেননি মতিনের সামনে। ছবি: প্রথম আলো
আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের কেউ বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেননি মতিনের সামনে। ছবি: প্রথম আলো

স্ট্রাইকার মতিন মিয়া—নতুন মৌসুম শুরুর আগে ফুটবল অঙ্গনে নামটা ঘুরেছে সবার মুখে মুখে। কিন্তু সাইফ স্পোর্টিংয়ের একাদশে সুযোগ মিলছিল না তাঁর। আজ প্রথমবার একাদশে নামলেন, দেখিয়েও দিলেন কেন তাঁকে নিয়ে এত আলোচনা। ম্যাচের ৯ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় শটে গোলের খাতা খুলেছেন তিনি। তাঁর গোলেই আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের বিপক্ষে ১-০ গোলে জয় পেয়েছে সাইফ।

কলম্বিয়ান স্ট্রাইকার হ্যাম্বারকে বসিয়ে রেখে মতিনকে একাদশে নাম্বার নাইনে খেলিয়ে হয়তো বড় ফাটকাই খেলেছিলেন সাইফের ব্রিটিশ কোচ কিম গ্রান্ট। খেলা শুরুর চার মিনিটেই মতিন ঝলকের পূর্বাভাস। তাঁর করা ভালো একটি হেড গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন আরামবাগ গোলরক্ষক আক্কাস। পরে অবশ্য আক্কাসের ভুলের সুযোগেই গোলের খাতা খুলেছেন মতিন। রাইট ফুলব্যাক রিয়াদ গোলমুখে লব দিলে বলের ফ্লাইট মিস করে সেটি আটকাতে ব্যর্থ আরামবাগ গোলরক্ষক। সেখান থেকে টোকা দিয়ে বল জালে রেখে সাইফকে এগিয়ে দেন মতিন। শেষে এই গোলটিই নির্ধারণ করে দেয় ম্যাচের ফল। ম্যাচ শেষে মতিনের আনন্দটা তাই একটু বেশিই, ‘আজই প্রথম একাদশে খেললাম। আবার গোলও পেলাম। তাই বেশি খুশি লাগছে। কোচকে ধন্যবাদ একাদশে সুযোগ দেওয়ার জন্য।’
পুরো ম্যাচেই মতিন ছিল প্রতিপক্ষ রক্ষণভাগের জন্য ত্রাস। গতিতে বারবার আরামবাগের তিন স্টপার ব্যাকের খাবি খাইয়েছেন! দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পুরো রক্ষণভাগ ও গোলরক্ষককে কাটানোর পর বল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না গেলে জোড়া গোল হতে পারত মতিনের। তা না হলেও মতিন শোয়ের ফার্স্ট ডে বক্স অফিস হিট বলাই যায়!
পেশাদার ফুটবল লিগের দ্বিতীয় স্তর চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে মতিন ছিলেন সাইফের প্রাণভোমরা। তাঁর সর্বোচ্চ ৬ গোলের সৌজন্যেই রানার্সআপ হয়ে প্রিমিয়ারে নাম লেখায় সাইফ। কিন্তু দেশের সর্বোচ্চ ফুটবলে একাদশে খেলার সুযোগ হচ্ছিল না। অবহেলার জবাব দিয়েই সাইফকে মৌসুমের প্রথম জয় এনে দিলেন মতিন। এর আগে এক ড্র ও এক হারে ফেডারেশন কাপ থেকে বিদায় নেয় সাইফ। আবাহনীর বিপক্ষে ৩-২ গোলে হার দিয়ে শুরু হয়েছিল লিগ। আজ বড় বাজেটের দলের প্রথম জয়। আর আরামবাগের টানা দ্বিতীয় হার। গোল শোধের কয়েকটি সুযোগ এসেছিল মারুফুলের দলের সামনে। কিন্তু ইকাঙ্গা ও বাপ্পীর ব্যর্থতাই আর সমতায় ফেরা সম্ভব হয়নি।