‘আমার বাসায় থাকতে পারো’, মেসিকে রামোস
ছিলেন দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের দুই কান্ডারি। ভাগ্যের ফেরে আজ দুজনের গায়ে একই জার্সি। বলা হচ্ছে লিওনেল মেসি আর সের্হিও রামোসের কথা। গত মৌসুমেও একজনের কাঁধে ছিল বার্সেলোনার নেতৃত্ব, আরেকজন রিয়াল মাদ্রিদের অধিনায়ক। এখন দুজনই রিয়াল-বার্সা ছেড়ে এসেছেন পিএসজির ছায়াতলে। আজীবন খেলার মাঠে একে অপরকে ঘায়েল করার সংকল্প নিয়ে মাঠে নামা রামোস ও মেসির লক্ষ্য এখন অভিন্ন।
রামোস এসেছিলেন আগেই। মাস দেড়েক আগেই নিশ্চিত হয়েছিল রিয়ালে থাকছেন না তিনি, পিএসজিও দাঁও মারতে দেরি করেনি। একই কথা প্রযোজ্য মেসির ক্ষেত্রেও। মেসি বার্সায় আর থাকছেন না, এ খবর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই পিএসজি উঠেপড়ে মেসিকে দলে আনার কাজ করেছে, যাতে তারা শতভাগ সফল। তাই এতকাল যে দৃশ্যপট কল্পনাও করা যেত না, সেটাই আজ বাস্তব।
এখন থেকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়বেন মেসি-রামোস। খেলোয়াড়ি স্বার্থে দুজনকেই এখন অতীতের মন–কষাকষি ভুলে যেতে হবে। সে পথে রামোস যে অনেকটাই এগিয়ে গেছেন, সেটাই প্রমাণিত হলো যেন।
পরিবার নিয়ে আপাতত মেসি প্যারিসের লে রয়্যাল মনচিআও হোটেলে অবস্থান করছেন। যত দিন পিএসজি তাঁর জন্য বাড়ি না খুঁজে দিতে পারছে, তত দিন এখানেই থাকবেন মেসি। হোটেলটা যথেষ্ট বিলাসবহুল, তবে দিন শেষে সেটা তো হোটেলই। নিজের মতো করে থাকার ব্যাপারে সেখানে মন সায় না দেওয়াই স্বাভাবিক। রামোস বোঝেন সেটা। বোঝেন বলেই মেসিকে প্রস্তাব দিয়েছেন নিজের বাড়িতে থাকার জন্য।
শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও, এটাই সত্য। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এল পাইসের সাংবাদিক হুয়ান ইরিগোয়েন জানিয়েছেন এ খবর।
রামোসের কাছের কিছু সূত্র ইরিগোয়েনকে নিশ্চিত করেছেন এ খবর। রামোস নাকি মেসিকে বলেছেন, ‘তুমি যদি হোটেলে না থেকে কোনো বাসায় থাকতে চাও, চাইলে আমার বাসায় থাকতে পারো।’ সে সূত্র আরও নিশ্চিত করেছে, অতীতের শত্রুতা ভুলে রামোস এখন মেসিকে নিজের একজন হিসেবে আগলে রাখতে প্রস্তুত।
মেসির জন্য বাড়িই শুধু নয়, পিএসজি মেসির তিন ছেলে থিয়াগো, মাতেও ও চিরোকে স্কুলে ভর্তির ব্যবস্থাও করে দিচ্ছে বলে জানিয়েছে এল পাইস। তবে রামোস যে মেসিকে এই প্রথম তাঁর বাসায় থাকতে বললেন, তা কিন্তু নয়; এর আগে বার্সেলোনার সঙ্গে মেসির চুক্তি নিয়ে যখন জটিলতা চলছিল, তখন রামোস ঠাট্টা করে জানিয়েছিলেন, মেসি যদি রিয়ালে যোগ দেন, তাহলে প্রথম কয়েক সপ্তাহ মেসিকে তাঁর বাসায় থাকতে দিতে রাজি রামোস। সেবার ঠাট্টা করে বললেও এবার যে ঠাট্টা করে বলেননি, এটা বলেই দেওয়া যায়।
যা–ই হোক, মেসি-রামোস এখন যে সতীর্থ!