আরবের দলে প্রথম ইসরায়েলি ফুটবলার

আরবের ক্লাবে নাম লেখানো প্রথম ইসরায়েলি ফুটবলার দিয়া সাবা।
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

মিসর আর জর্ডান ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে সব আরব দেশগুলোরই সম্পর্ক ছিল দা-কুমড়ার। সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করেছে ইসরায়েল। এর দুই সপ্তাহের মাথায় দুবাইয়ের ক্লাবটি ইসরায়েলের সাবাকে দলে ভেড়াল। সংযুক্ত আরব আমিরাতের পেশাদার লিগের ক্লাব আল-নসর এক বিবৃতিতে লিখেছে, ‘আল-নসর দিয়া সাবাকে পাওয়ার সব প্রক্রিয়াই সম্পন্ন করেছে...আজ সকালে মেডিকেল পরীক্ষায় উতরানোর পর দুই মৌসুমের জন্য ক্লাব তাঁর সঙ্গে চুক্তি করেছে।’

সাবার বাবা-মা দুজনেই আরবের। কিন্তু তাঁর জন্ম হয়েছে ইসরায়েলের শহর মাজদ আল কুরুমে। পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারটাও তিনি ইসরায়েলের ক্লাব বেইতার নেস তুবুরুকে শুরু করেন। ২০১২ সালে নাম লিখিয়েছিলেন ম্যাকাবি তেল আবিবে। ইসরায়েলের আরও তিনটি ক্লাবে খেলে সাবা গত বছর পাড়ি জমিয়েছিলেন চীনে। গুয়াংজু আর অ্যান্ড এফের হয়ে ৩৬টি ম্যাচ খেলে ১৮টি গোল করেছেন ইসরায়েলের হয়ে ১০টি ম্যাচ খেলা এই আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার।

আরবের ফুটবলে নতুন ইতিহাস লিখল দুবাইয়ের ক্লাব আল-নসর। ইতিহাসটা তারা গড়েছে চাইনিজ সুপার লিগের দল গুয়াংজু আর অ্যান্ড এফ থেকে দিয়া সাবাকে উড়িয়ে এনে। মুসলিম পরিবারে জন্ম হলেও সাবা ইসরায়েলের নাগরিক। আরবের ফুটবলে নাম লেখানো প্রথম ইসরায়েলি ফুটবলার তিনি।

২৮ বছর বয়সী সাবা আল-নসরে ৯ নম্বর জার্সি পরবেন। ক্লাবটি তাদের টুইটারে এরই মধ্যে ৯ নম্বর জার্সি পরে আল-মাকতুম স্টেডিয়ামে সাবার ড্রিবলিং আর শুটিংয়ের ছবি দিয়েছে। এখন তো ইসরায়েলের ফুটবলার নিয়ে এসেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্লাব। ভবিষ্যতে ইসরায়েলের ফুটবলে লগ্নিও হয়তো করবে দেশটি। এর মধ্যেই আরব আমিরাতের এক ব্যবসায়ী সেই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।