একজন কামড়ান, আরেকজন লাথি মারেন

কাল গ্রানাদার বিপক্ষে এক সঙ্গে খেলা হয়নি কস্তা–সুয়ারেজের। ৭১ মিনিটে কস্তার বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছেন সুয়ারেজ।ছবি: রয়টার্স

আতলেতিকো মাদ্রিদে কেমন হবে লুইস সুয়ারেজ ও দিয়েগো কস্তার জুটি?

ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোয় গতকাল গ্রানাদার বিপক্ষে আতলেতিকোর ম্যাচে অবশ্য সেটি বোঝার উপায় ছিল না। কালকের ম্যাচে দুজন যে এক সঙ্গে খেলেনইনি। ৭১ মিনিটে কস্তার বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছেন বার্সেলোনা থেকে গত বুধবারই আতলেতিকোয় নাম লেখানো সুয়ারেজ। কাল এই জুটিকে এক সঙ্গে দেখা না গেলেও কস্তা একটা বিষয়ে নিশ্চিত—তাঁদের দুজনের জুটি মেত্রোপলিতানোতে বেশ জমবে।

আতলেতিকোয় সুয়ারেজের সঙ্গে কেন তাঁর জুটি জমবে, এ ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে একটু মজাই করেছেন কস্তা, ‘আমি সুয়ারেজকে পছন্দ করি। আমাদের জুটিটা ভালোই হবে। আমাদের একজন কামড়াই, আরেকজন লাথি মারি।’

২০১৪ বিশ্বকাপে কিয়েল্লিনিকে সুয়ারেজের কামড় দেওয়ার মুহূর্ত।
ছবি: সংগৃহীত

দুই বছরের চুক্তিতে আতলেতিকোয় নাম লেখানো সুয়ারেজ ২০১৪ বিশ্বকাপে ইতালির বিপক্ষে গ্রুপ ম্যাচে জর্জো কিয়েল্লিনিকে কামড় দিয়েছিলেন। সেই সময়ে বিষয়টি নিয়ে বেশ হইচই হয়েছিল।

ঘাটাঘাটি করে কেউ কেউ বের করে ফেলেন অমন কাজ সুয়ারেজ আগেও করেছেন। ইতালি ম্যাচের বিষয়টি ছিল তাঁর ক্যারিয়ারে ম্যাচের মধ্যে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে কামড় দেওয়ার তৃতীয় ঘটনা। অন্যদিকে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের সঙ্গে ঝগড়া করার প্রবণতা আছে কস্তার। সেই ঝগড়া কখনো কখনো লাথালাথিতে রূপ দেন ব্রাজিলে জন্ম নেওয়া স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড।

দুটি বিষয় মিলিয়ে সুয়ারেজের সঙ্গে নিজের জুটি নিয়ে মজা করেছেন কস্তা। তবে কিয়েল্লিনির সঙ্গে ওই ঘটনার পর আর কাউকে কামড় দেননি সুয়ারেজ। ২০১৪ বিশ্বকাপ শেষে লিভারপুল থেকে বার্সেলোনায় নাম লেখান উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার। ন্যু ক্যাম্পে যাওয়ার পর কামড় দেওয়ার অভ্যাস নিয়ে মনোবিদের শরণাপন্নও হয়েছিলেন। এটাতে কাজ হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে।

ছয় মৌসুম কাটানোর পর বার্সায় তাঁর প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে গেছে। গত মৌসুমের শেষ দিক থেকেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলছিল বার্সেলোনা। নতুন কোচ রোনাল্ড কোমান ন্যু ক্যাম্পে যাওয়ার পর সেটি আরও ত্বরান্বিত হয়েছে। অবশেষে ন্যু ক্যাম্প থেকে সুয়ারেজের ঠিকানা হয়েছে মেত্রোপলিতানো।

নতুন ক্লাবে অভিষেকটা দুর্দান্ত হয়েছে সুয়ারেজের। আতলেতিকোর ৬–১ গোলের জয়ে দুটি গোল করেছেন, একটি গোলে সহায়তাও ছিল। একটি গোল করা কস্তা নতুন সতীর্থ সুয়ারেজকে নিয়ে বলেছেন, ‘বার্সা তাকে কেন ছেড়ে দিয়েছে, তা আমি জানি না। এটা আসলে তাদের ব্যাপার। শিরোপা জয়ের জন্য সে যোদ্ধার মনোভাব নিয়ে এসেছে। আশা করছি এবার সমর্থকদের আমরা শিরোপা উপহার দিতে পারব।’

কিন্তু আতলেতিকোয় কস্তার ভবিষ্যৎ আসলে কী? সুয়ারেজ নাম লেখানোয় তাঁর সুযোগটা একটু কি কমে যাবে না! কস্তার উত্তর, ‘আমি ক্লাবকে পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছি তারা যা চাইবে সেটাই হবে। তারা যদি আমাকে বিক্রি করে দেয় তাহলে আমি চলে যাব। তারা যদি আমাকে রেখে দিতে চায় তাহলে সেটাও ভালোই হবে।’