অঘটনের সম্ভাবনা দেখা গিয়েছিল আগেই। পেপ গার্দিওলার মহাশক্তিধর ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে প্রথমে গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল পুঁচকে উইকম্ব ওয়ান্ডারার্স। কিন্তু সেই সুখস্মৃতি বেশিক্ষণ থাকেনি দলটার।
রিয়াদ মাহরেজের নৈপুণ্যে পরে উইকম্বকে গুনে গুনে ছয়টি গোল দিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। আলজেরিয়ান এই উইঙ্গার গোল দিয়েছেন দুটি। একটি করে গোল করেছেন বেলজিয়ান মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রুইনা, ইংলিশ মিডফিল্ডার ফিল ফোডেন, স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড ফেরান তোরেস ও তরুণ ইংলিশ ফরোয়ার্ড কোল পালমার। ম্যাচসেরা হয়েছেন মাহরেজ।
বেশ কিছু আনকোরা খেলোয়াড় নিয়েই আজ মূল একাদশ সাজিয়েছিলেন পেপ গার্দিওলা। বিশেষ করে রক্ষণভাগে ছিল সব অচেনা মুখের ছড়াছড়ি। জশ উইলসন-এসব্র্যান্ড, লুক এমবেতে, ফিনলে বার্নস, কনরাড এগান রাইলি, রোমেও লাভিয়া - এদের নাম শুনেছেন কখনও? ইএফএল কাপের মতো প্রতিযোগিতায় এমনিতেই ম্যানেজাররা দ্বিতীয় সারির দল নামান, গার্দিওলাও তাঁর ব্যতিক্রম ছিলেন না। তবে ঠিকই খেলেছেন মাহরেজ-ডি ব্রুইনার মতো খেলোয়াড়েরা।
২২ মিনিটেই সবাইকে অবাক করে দিয়ে উইকম্বকে এগিয়ে দেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড ব্রেন্ডন হ্যানলন। তবে বেশিক্ষণ পিছিয়ে থাকতে হয়নি সিটিকে। সাত মিনিট পরেই ফোডেনের সহায়তায় গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান কেভিন ডি ব্রুইনা।
৪৩ মিনিটে লেফটব্যাক উইলসন-এসব্র্যান্ডের সহায়তায় দলকে এগিয়ে দেন মাহরেজ। এর ঠিক দুই মিনিট পরেই ব্যবধান বাড়ান ফিল ফোডেন। এবার সহায়তাকারীর ভূমিকায় ছিলেন মাহরেজ।
৭১ মিনিটে গোলের খাতায় নাম তোলেন স্প্যানিশ উইঙ্গার ফেরান তোরেস। তোরেসকে দিয়ে গোল করান ফোডেন। ৮৩ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের পঞ্চম গোল করেন মাহরেজ, মাহরেজকে দিয়ে গোল করান ইংলিশ উইঙ্গার রহিম স্টার্লিং।
তবে সবচেয়ে স্মরণীয় গোলটা নিঃসন্দেহে পেয়েছেন তরুণ ইংলিশ ফরোয়ার্ড কোল পালমার। আরেক তরুণ লুকাস এমবেতের সহায়তায় ম্যাচের ৮৮ মিনিটে ষষ্ঠ গোল করে উইকম্বের হতাশার ষোলোকলা পূর্ণ করেন পালমার। ৬-১ গোলের জয়ে নিয়ে পরের রাউন্ডে ওঠে সিটি।