এমবাপ্পের গোলের পর অফসাইডের নিয়ম নিয়ে চিন্তা উয়েফার

বিতর্ক জন্ম দেওয়া সেই গোলছবি: রয়টার্স

গত রোববার প্রথমবারের মতো নেশনস লিগ জিতেছে ফ্রান্স। অবশ্য যে গোলের সুবাদে ট্রফি নিয়ে উৎসব করেছে ফ্রান্স, সে গোল নিয়ে বিতর্ক থামছে না। সমতায় থাকা ম্যাচে ৮০ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পে জয় এনে দেওয়া গোলটি করেছিলেন। অথচ তাঁকে থিও হার্নান্দেজ যখন পাস দিচ্ছিলেন, তখন অফসাইডে ছিলেন এমবাপ্পে।

অফসাইডের অবস্থানে থাকার পরও অফসাইডের বেড়াজালে আটকা পড়েননি এমবাপ্পে। এর কারণ, অফসাইডের আইনে আনা কিছু পরিবর্তন। তবে নিয়মের এমন প্রয়োগ দেখার পর উয়েফার রেফারিদের প্রধান নিয়ম নিয়ে নতুন করে ভাবার কথা জানিয়েছেন।

থিও হার্নান্দেজ পাস দেওয়ার সময় এমবাপ্পে ছিলেন অফসাইডে
ছবি: টুইটার

সেদিন ফরাসি লেফটব্যাক যখন বল বাড়িয়ে দিচ্ছিলেন এমবাপ্পের দিকে, এই স্ট্রাইকার তখন নিশ্চিতভাবেই স্পেনের সব ডিফেন্ডারের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু বলটা এমবাপ্পের কাছে পৌঁছানোর আগে স্প্যানিশ ডিফেন্ডার এরিক গার্সিয়ার ছোঁয়া নিয়ে যায়। আর গার্সিয়া যেহেতু বলটা থামানোরই চেষ্টা করেছিলেন, নিয়ম অনুযায়ী এ কাজটা এমবাপ্পেকে আবার অনসাইডে নিয়ে এসেছিল।

এ ব্যাপারে স্পেনের খেলোয়াড়েরা ইংলিশ রেফারি অ্যান্থনি টেলরের সঙ্গে তর্ক করেছেন। কিন্তু ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির সঙ্গে কথা বলেও সিদ্ধান্ত বদলাননি টেলর। কারণ, গার্সিয়ার পায়ের ছোঁয়া খেলাটা নতুন করে শুরু করে দিয়েছে। উয়েফার প্রধান রেফারিং কর্মকর্তা রবার্তো রোসেত্তি এতে টেলরের কোনো ভুল দেখছেন না। তবে মানছেন, আইনে অফসাইডের কথা ও নিয়ম বোঝাতে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে ভুল হওয়ার আশঙ্কা রয়ে গেছে।

ইতালিয়ান রোসেত্তি বলেছেন, ‘বর্তমান যে আইন, আর তার আনুষ্ঠানিক যে বর্ণনা, সেটা অনুযায়ী অ্যান্থনি টেলর সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন। ওই খেলোয়াড় (গার্সিয়া) স্বেচ্ছায় বলটা আটকেছেন এবং প্রতিপক্ষ (এমবাপ্পে) খেলার মধ্যে ছিলেন না। কিন্তু এ ঘটনা দেখিয়ে দিচ্ছে, আইনের বর্তমান ব্যাখ্যা এই আইনের চেতনার উল্টো। কারণ, এই আইন করা হয়েছে যেন কোনো খেলোয়াড় অফসাইডে থাকা অবস্থানের সুবিধা নিতে পারে।’

এ কারণে আইনের ব্যাখ্যার জন্য ব্যবহৃত ভাষায় পরিবর্তন আনা দরকার বলে মনে করেন রোসেত্তি, ‘উয়েফার অবস্থান হলো, শব্দের ব্যবহারে উন্নতি আনা, যাতে সেটা অফসাইডের আইন ও খেলার চেতনার সঙ্গে যায়।’

রোসেত্তি এটাও জানিয়েছেন, এরই মধ্যে ফিফার ও খেলাটির আইনপ্রণেতা সংস্থা আন্তর্জাতিক ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ডের (আইএফএবি) সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলেছেন। আইএফএবির আগামী মিটিংয়েই এ নিয়ে নাকি আলোচনা হবে।