ওমানের কাছ থেকে এক পয়েন্ট নেওয়ার আশা তপু বর্মণদের
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৪। ওমানের ৮০। দুইবারের মুখোমুখিতে দুবারই হার বাংলাদেশের। বাংলাদেশ প্রথম হেরেছিল ১৯৮২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি। করাচিতে কায়েদে আজম ট্রফিতে ওমানের জয় ছিল ৩–১ গোলের ব্যবধানে। এরপর ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর মাসকাটে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচে ৪–১ ব্যবধানে। অতীতের পরিসংখ্যান কোনো সুখস্মৃতি এনে দিচ্ছে না বাংলাদেশকে। তারপরও আগামীকাল বাছাইপর্বে ওমানের বিপক্ষে এক পয়েন্টের আশা করছেন ডিফেন্ডার তপু বর্মণ।
এমনিতেই বাংলাদেশ দলে চোটের হানা। চোটে পড়ে খেলার মাঝপথে দেশে ফিরে এসেছেন মিডফিল্ডার সোহেল রানা। আরেক মিডফিল্ডার মাসুক মিয়াও কালকের ম্যাচে খেলতে পারবেন না চোটের কারণে। মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো কার্ড নিষেধাজ্ঞায় ওমানের বিপক্ষে নেই নিয়মিত অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। তাঁর বদলে মাঠে অধিনায়কত্ব করবেন তপু বর্মণ। একই কারণে ওমান ম্যাচে দর্শক হয়ে থাকবেন রহমত মিয়া ও বিপলু আহমেদ।
এই অবস্থায়ও তপুর আশা, অন্তত একটা পয়েন্ট পেয়ে মাঠ ছাড়ার, ‘ওমান অনেক শক্তিশালী দল। ওমান সম্পর্কে আমাদের ভালো ধারণা আছে। কাতারে ওদের দুটি ম্যাচ দেখেছি। কাতার ও আফগানিস্তানের সঙ্গে খেলেছে ওরা। ম্যাচ দুটো দেখে তাদের দুর্বলতা ও শক্তিমত্তা সম্পর্কেও ধারণা হয়েছে। আমাদের কোচ এসব নিয়ে কাজ করেছেন। তাদের কীভাবে আটকাব এবং তাদের বিপক্ষে কীভাবে আক্রমণে উঠব—এসব নিয়ে কোচ আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। যদি মাঠে আমরা সবাই একসঙ্গে ভালো পারফর্ম করতে পারি, অবশ্যই তাদের থেকে এক পয়েন্ট নিতে পারব। শেষ ম্যাচে ভালো একটা ফল নিয়েই বাংলাদেশে আসতে চাই।’
মাসকাটে প্রথম পর্বে বাংলাদেশের জালে ৪ গোল দিয়েছিল ওমান। তবে প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য । দ্বিতীয়ার্ধে ওমানের আক্রমণ সামাল দিতে পারেনি বাংলাদেশ। যদিও ওই ৪ গোলের বিপরীতে ১টা গোল দিয়েছিলেন বিপলু। সেই বিপলুই আগামীকালের ম্যাচে খেলতে পারবেন না।
মাঠে না থাকলেও আজ সতীর্থদের উজ্জীবিত করলেন বসুন্ধরা কিংসের এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার, ‘এর আগে ওমানে ওদের মাঠে প্রথম ৫০ মিনিট গোল খাইনি আমরা। পরে আমাদের ভুলেই গোল খেয়েছি। ওই ম্যাচে আমি একটা গোল করেছিলাম। আমি মনে করি ওই গোলটা আমাদের ফুটবলারদের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। আমাদের দলে গোল করার মতো সামর্থ্য আছে বেশ কজনের। যদি আমরা নিজেদের সেরা পারফরম্যান্সটা করতে পারি আর কোচ যেগুলো আমাদের বলেছেন, সেগুলো মাঠে গিয়ে ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারি তাহলে ইনশা আল্লাহ এক পয়েন্ট নিতেও পারি।’
বাংলাদেশ আগামীকাল এক পয়েন্ট পেলেও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্লে–অফ এড়াতে পারবে না। কালকের এক পয়েন্ট অবশ্য বাংলাদেশকে প্লে–অফ ড্রয়ের পটে খানিকটা সুবিধাজনক অবস্থায় রাখতে পারে। তবে ওমানের জন্য ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতলে সেরা চার রানার্সআপের একটি হয়ে ওমানের এশিয়ান কাপে খেলা নিশ্চিত হবে।
১১ জুন ওমানের বিপক্ষে ১–২ গোলে হেরেছে আফগানিস্তান। এই আফগানিস্তানের সঙ্গেই কাতারে ১–১ গোলে ড্র করে বাংলাদেশ। আফগানদের বিপক্ষে এমন লড়াকু মানসিকতাই হতে পারে তপুদের জন্য কালকের ম্যাচের প্রেরণা।