একদিকে লিওনেল মেসির পরবর্তী গন্তব্য হিসেবে পিএসজির নাম জোরেশোরে যেমন উচ্চারিত হচ্ছে, আরেক দিকে পিএসজি নিজেদের দলে থাকা বড় দুই তারকাকে ধরে রাখতে পারে কি না, সেটা নিয়েও দেখা গেছে সংশয়।
নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপ্পে—দলের সবচেয়ে বড় এই দুই তারকার সঙ্গে পিএসজির চুক্তি শেষ হচ্ছে ২০২২ সালের জুনে। এমন অবস্থায় দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়টিকে ধরে রাখার জন্য ক্লাবগুলো চুক্তি বৃদ্ধির কার্যক্রম শুরু করে দেয়।
নিশ্চিতভাবে পিএসজিও করেছে। কিন্তু নেইমার বা এমবাপ্পে চুক্তি নবায়নে রাজি হলে তো! এখনো দলের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেননি এই দুই তারকা। ফলে বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফুটবলারের সঙ্গে বিভিন্ন ক্লাবের নাম জড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত।
নেইমার তো যে বছর বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দিয়েছেন, বলতে গেলে সে বছর থেকেই আবার বার্সেলোনায় ফেরার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
চেষ্টা চালিয়েছে বার্সেলোনাও। একটা দলবদল যাবে, সেখানে নেইমারের সঙ্গে বার্সার নাম জড়িয়ে কোনো মুখরোচক খবরের জন্ম হবে না, এমনটি হয়নি কখনো।
ওদিকে এমবাপ্পের প্রতি রিয়াল মাদ্রিদের আগ্রহের কথা আজকের নতুন নয়। রিয়ালের কোচ জিনেদিন জিদানও বহুদিন ধরেই চাইছেন নিজ দেশের সবচেয়ে বড় প্রতিভার গায়ে রিয়ালের জার্সি পরাতে।
কিন্তু করোনা মহামারির মধ্যে এক খেলোয়াড়ের পেছনে এত বেশি খরচ করতে রাজি হয়নি রিয়াল। শুধু রিয়ালই নয়, এমবাপ্পের সঙ্গে জড়িয়েছে লিভারপুলের নামও।
নিজেদের খেলোয়াড়দের সঙ্গে অন্য ক্লাবের নাম জড়িয়ে এমন গুঞ্জন নিশ্চিতভাবেই পিএসজি পছন্দ করছে না। তাই বলে তারা কি এখন নেইমার-এমবাপ্পেদের হাতে-পায়ে ধরবে দলে থাকার জন্য? ভিক্ষা চাইবে আরও কিছু সময়? মোটেও না!
কোনো খেলোয়াড়ের জন্য নিজেদের আত্মসম্মান বিসর্জন দিতে রাজি নয় পিএসজি, জানিয়েছেন দলটার ক্রীড়া পরিচালক লিওনার্দো।
ফ্রান্স ফুটবলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লিওনার্দো জানিয়েছেন, ‘আমার বিশ্বাস খেলোয়াড়েরা মনে করে তাঁরা সর্বোচ্চ জায়গায় আছে। আমার বিশ্বাস, তারা উচ্চাভিলাষী খেলোয়াড় ও এটাই মনে করে যে এই ক্লাবে থেকেই সবকিছু সম্ভব। কিন্তু এর পরও না থাকতে চাইলে আমরা কাউকে দলে রাখার জন্য ভিক্ষা করব না।’
ইঙ্গিতটা স্পষ্ট, নেইমার-এমবাপ্পেরা চলে যেতে চাইলে, চলে যাবেন। বাড়তি কোনো খাতিরদারি করা হবে না এই দুই তারকাকে!
লিওনার্দো এখানে যেকোনো খেলোয়াড়ের চেয়ে বড় করে দেখছেন ক্লাবকে। ক্লাবকে যে ভালোবাসবে, সে থাকবে। যে না ভালোবেসে থাকতে চাইবে না, তাকে জোর করে রাখবে না পিএসজি, ‘কেউ যদি ক্লাবকে আসলেই পছন্দ করে, তারা থাকবে। তাদের রাখার জন্য অতিরিক্ত কাঠ-খড় পোড়াতে হবে না।’