চেলসির পেছনেই ছুটছে সিটি

দ্রগবার চিরচেনা উদ্‌যাপন। চেলসির দ্বিতীয় গোলের পর l এএফপি
দ্রগবার চিরচেনা উদ্‌যাপন। চেলসির দ্বিতীয় গোলের পর l এএফপি

কে থামাবে চেলসিকে? প্রশ্নটা এ রকমও হতে পারে, আদৌ কি কেউ থামাতে পারবে? হোসে মরিনহোর দল যেভাবে খেলছে, তাতে প্রশ্নটা উঠেই যাচ্ছে। এই সপ্তাহে সান্ডারল্যান্ডের সঙ্গে ড্র করে হোঁচট খেয়েছিল চেলসি। কিন্তু পরশু আবার টটেনহামকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ফিরেছে জয়ের ধারায়। এই মৌসুমে লিগে এখনো একটা ম্যাচেও হারেনি, হাতছানি দিচ্ছে ২০০৪-০৫ মৌসুমের আর্সেনালের এক মৌসুমে অপরাজিত থাকার অবিশ্বাস্য সেই কীর্তি।
পরশু অবশ্য বড় দলগুলোর জন্যই ছিল স্বস্তির। সান্ডারল্যান্ডকে ৪-১ গোলে হারিয়ে ম্যানচেস্টার সিটি শিরোপাদৌড়ে ভালোমতোই আছে, সাউদাম্পটনকে ১-০ গোলে হারিয়ে আর্সেনাল বাঁচিয়ে রেখেছে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার আশা।
১৯৯০ সালের পর থেকে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে কখনো জেতেনি টটেনহাম। হোসে মরিনহো হয়তো তথ্যটা জেনে থাকবেন, তার পরও পরশু ম্যাচ শুরুর আগে চেলসি কোচের মনে অস্বস্তির একটা কাঁটা খচখচ করে থাকতে পারে। নিষেধাজ্ঞার খড়্গে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ডিয়েগো কস্তা যে দলের বাইরে ছিলেন! তবে ত্রাতা হয়ে এলেন দিদিয়ের দ্রগবা, ১৯ মিনিটে এডেন হ্যাজার্ডকে দিয়ে একটা গোল করিয়েছেন, চার মিনিট পর নিজেই একটি গোল করেছেন। ৭৩ মিনিটে বদলি লইক রেমি টটেনহামের কফিনে ঠুকে দিয়েছেন শেষ পেরেক।
দ্রগবার প্রতি মরিনহোর পুরোনো একটা টান তো আছেই, সেই ২০০৪ সালে প্রথম দফায় চেলসির কোচ থাকার সময় নিয়ে এসেছিলেন আইভরিকোস্টের স্ট্রাইকারকে। আরও একবার আস্থার প্রতিদান দিয়ে দ্রগবা সিক্ত হলেন কোচের প্রশংসায়, ‘হ্যাঁ, এটা আসলেই দুর্দান্ত। দিদিয়ের দলের জন্য খেলে। সে স্বার্থপর নয়, দলের জন্য সব সময় লড়ে যায়। অসাধারণ।’ এর আগে ২০০৭ ও ২০০৯ সালে দুবার টানা ২৩ ম্যাচে অপরাজিত ছিল চেলসি। পরশু সেই রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলেছে আবারও, সেই সঙ্গে ১৯২৫-২৬ সালের পর সবচেয়ে ভালো শুরুর কীর্তিও গড়েছে।
চেলসি এগিয়ে যাচ্ছেই, তবে ম্যানচেস্টার সিটিও পিছু ছাড়ছে না। আসলে সার্জিও আগুয়েরো পিছু ছাড়তে দিচ্ছেন না। ফর্মের তুঙ্গে আছেন সিটির আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার, পরশু জোড়া গোল করে এই মৌসুমে নিজের গোলসংখ্যা নিয়ে গেছেন ১৪-তে। সিটির অন্য ২ গোল করেছেন স্টেভান ইয়োভেতিচ ও পাবলো জাবালেতা।
সিটির যেমন আগুয়েরো, আর্সেনালের তেমন অ্যালেক্সিস সানচেজ। এই মৌসুমে এর মধ্যেই করে ফেলেছেন ৯ গোল, তবে পরশুর গোলটা আলাদা করেই মনে রাখবেন। এই মৌসুমের চমক সাউদাম্পটন তাদের গোলরক্ষক ফ্রেজার ফরস্টারের কল্যাণে ড্র-ই করে ফেলেছিল। ৮৯ মিনিটে সানচেজের গোলেই আর্সেনাল পেয়েছে মহামূল্য জয়। ১৪ ম্যাচ শেষে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে আর্সেনাল আছে ছয়ে, ৭ পয়েন্ট এগিয়ে সিটি আছে দুইয়ে। ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে চেলসিই।
কোপা ডেল রেতে তৃতীয় বিভাগের দল হুয়েস্কার সঙ্গে বার্সেলোনা বড় জয় না পেলে সেটিই হতো অঘটন। অঘটন ঘটেনি। মেসি, নেইমার, সুয়ারেজহীন বার্সেলোনা ৪-০ গোলে জিতেছে। তবে কোচ লুইস এনরিকেকে স্বস্তি দেবে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার ফেরা। চোট কাটিয়ে মাস খানেক পর দলে ফিরেছেন ইনিয়েস্তা, দুর্দান্ত একটা গোল করে জানিয়ে দিয়েছেন পায়েও মরচে ধরেনি। রাকিটিচ, পেদ্রো ও রাফিনহা করেছেন অন্য তিনটি গোল। এএফপি।