চেলসির বিপক্ষে মহামূল্য জয় এভারটনের

গোলের পর সমর্থকদের ছুড়ে মারা আতশবাজি গ্যালারিতে ছুড়ে দেন এভারটন স্ট্রাইকার রিচার্লিসনছবি: রয়টার্স

গুডিসন পার্কে শেষ বাঁশি বাজার ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের সঙ্গে হাত মেলানোর সময় চেলসি কোচ টমাস টুখেলের মুখটা খুব শুকনো দেখাচ্ছিল। আর এভারটন কোচ ল্যাম্পার্ডের মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, এই জয়টা কেমন অমূল্য। মাঠে সতীর্থের পিঠে চড়ে রিচার্লিসনের মুখে তখন বিজয়ীর হাসি।

শুধু একজনের মুখটা একটু বেশ কালো। চেলসি ডিফেন্ডার সিজার আজপিলিকেতা। তাঁর ভুলেই তো গোল হজম করে হেরেছে চেলসি।

বিরতির পর খেলা শুরুর প্রথম মিনিটেই ভুলটি করে বসেন চেলসির এই রাইটব্যাক। বক্সের মধ্যে তাঁকে চাপে রেখেছিলেন রিচার্লিসন। সতীর্থের কাছ থেকে আজপিলিকেতা বল পেতেই ব্রাজিলিয়ান এই স্ট্রাইকার বল কেড়ে নিতে এগিয়ে যান।

চেলসি অধিনায়ক বল ‘ক্লিয়ার’ করতে পারেননি সময় মতো। বল রিচার্লিসনের পায়ে লেগে সামনের দিকে গড়িয়ে যায়। সুযোগ পেয়ে চেলসি গোলকিপার এদুয়ার্দো মেন্দিকে ফাঁকি দিয়ে গোল করেন রিচার্লিসন।

গোলটি চেলসি আর শোধ করতে পারেনি। ১-০ গোলের জয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে অবনমন এড়ানোর লড়াই টিকে রইল ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের এভারটন।

গোল করতে না পেরে হতাশ চেলসির রুডিগার
ছবি: রয়টার্স

৩৩ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে ১৮তম এভারটন। হাতে ৫ ম্যাচ রেখে এখনো অবনমন অঞ্চলে রয়েছে দলটি। তাঁদের চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলা লিডস ইউনাইটেড ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে ১৭তম স্থানে। লিডসের সামনের ম্যাচগুলো তুলনামূলক কঠিন বলে এভারটনের বেঁচে যাওয়ার ভালো সম্ভাবনা আছে। গুডিসন স্টেডিয়ামে দর্শকেরা যে এই জয় তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করেছেন, সেটির কারণ তো অনুমান করতেই পারেন।

স্বাগতিকদের বহনকারী বাস গুডিসন পার্কে আসতেই স্লোগান ও আতশবাজিতে ল্যাম্পার্ডের দলকে সমর্থন দিয়েছেন ভক্তরা।

প্রথমার্ধে চেলসি প্রভাব বিস্তার করে খেললেও গোলের সবচেয়ে ভালো সুযোগটা পেয়েছে এভারটনই। বক্সের ভেতর থেকে অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার অ্যান্থনি গর্ডনের শট দারুণ দক্ষতায় রুখে দেন মেন্দি।

গোল হজমের পর চেলসিও ম্যাচে ফেরার সুযোগ পেয়েছিল। ম্যাসন মাউন্টের একটি শট এভারটনের দুই পোস্টে লেগেই লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। কাই হাভার্টজ ও রুডিগারের দুটি ভালো শট রুখে দেন এভারটন গোলকিপার জর্ডান পিকফোর্ড। ৩৪ ম্যাচে ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে চেলসি।

গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন এভারটনের ভিটালি মাইকোলেঙ্কো
ছবি: রয়টার্স

তবে গোলের পর একটি ঘটনার জন্য সমর্থকদের বিরাগভাজনও হয়েছেন রিচার্লিসন। গোল উদ্‌যাপন করার সময় গ্যালারি থেকে নীল রংয়ের আতশবাজি ছুঁড়ে মারা হয়েছিল মাঠে। রিচার্লিসন তা কুড়িয়ে আবারও ফেরত পাঠান গ্যালারিতে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমর্থকেরা রিচার্লিসনের এই আচরণের নিন্দা করেছেন।