টুখেলের ‘ফিফটি’ যেন জুভেন্টাসের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা
চ্যাম্পিয়নস লিগে শেষ ষোলো আগেই নিশ্চিত করেছে জুভেন্টাস। তবু কাল রাতে স্টামফোর্ড ব্রিজে ৪-০ গোলে হার ভুলে যেতে চাইবে ইতালিয়ান ক্লাবটি।
কিন্তু চাইলেই কি সব ভোলা যায়? চ্যাম্পিয়নস লিগে এটা যে জুভেন্টাসের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার!
সেন্টারব্যাক ট্রেভোহ চালোবাহ, রাইটব্যাক রিস জেমস, উইঙ্গার ক্যালাম হাডসন-অদয় ও স্ট্রাইকার টিমো ভেরনারের গোলে বড় জয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করে চেলসি।
ইংলিশ ক্লাবটির কোচ হিসেবে এটি ছিল টমাস টুখেলের ৫০তম ম্যাচ। এ বছরের ২৬ জানুয়ারি কোচ হিসেবে চেলসির সঙ্গে চুক্তি করেন এই জার্মান কোচ। এর মাঝে ৩০২ দিনের ব্যবধানে চেলসির চেহারা রীতিমতো পাল্টে দিয়েছেন টুখেল।
৫০ ম্যাচে ৩২ জয়, ১১ ড্র ও ৭ হার। টুখেলের এ সময়ে ৮১ গোল করার বিপরীতে মাত্র ২৪ গোল হজম করেছে চেলসি। ৩১ ম্যাচে ইংলিশ ক্লাবটি কোনো গোল হজম করেনি। ইউরোপে শীর্ষ পাঁচ লিগে আর কোনো দলই টুখেলের এ সময়ে এত বেশিসংখ্যক ম্যাচে ‘ক্লিন শিট’ (গোল হজম না করা) ধরে রাখতে পারেনি।
শুধু কী তাই, টুখেল যখন চেলসির দায়িত্ব নেন লিগ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ টেবিলের নয়ে হাবুডুবু খাচ্ছিল ক্লাবটি। তাঁর ছোঁয়ায় শীর্ষ চারে থেকে মৌসুম শেষ করে স্টামফোর্ড ব্রিজের ক্লাবটি। চ্যাম্পিয়নস লিগ ও সুপার কাপ জয়ের পাশাপাশি এখন লিগ টেবিলেও শীর্ষে চেলসি।
টুখেলের এ উজ্জীবিত চেলসির সামনে কাল রাতে দাঁড়াতেই পারেনি জুভেন্টাস। প্রথমার্ধে একটি এবং দ্বিতীয়ার্ধে তিন গোল হজম করে মাসিমিলিয়ানো আলেগ্রির দল। চ্যাম্পিয়নস লিগে জুভেন্টাস কখনো এত বড় ব্যবধানে হারেনি।
ইউরোপিয়ান কাপ (চ্যাম্পিয়নস লিগের পূর্ববর্তী সংস্করণ) ও চ্যাম্পিয়নস লিগ মিলিয়ে এটি জুভেন্টাসের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানের হার। ১৯৫৮ ইউরোপিয়ান কাপে সালে অস্ট্রিয়ার ওয়েইনার স্পোর্ট-ক্লাবের বিপক্ষে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল জুভেন্টাস। সেটিও ছিল গ্রুপপর্বেরই ম্যাচ।
চার গোল ব্যবধানে হারও গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে দেখেনি জুভেন্টাস। কাগজে-কলমের হিসেবে গত ১৭ বছরের মধ্যে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এটাই জুভেন্টাসের সবচেয়ে বড় ব্যবধানের হার। ২০০৪ সিরি আ-তে রোমার কাছে ৪-০ গোলে হেরেছিল জুভেন্টাস।