সুইডেনের সঙ্গে নিজেদের মাঠে ড্র করেছেন স্পেনছবি : রয়টার্স

২০০৮ আর ২০১২ ইউরোর সুখস্মৃতি ফেরানোর আশা নিয়ে এবার ইউরো খেলতে এসেছিল স্পেন। সে আশায় ছোটখাট একটা ধাক্কাই খেল দলটা। টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আজ সুইডেনের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে তিনবারের ইউরোজয়ীরা।

সেভিয়ার মাঠে যথারীতি ৪-৩-৩ ছকে শুরু করা স্পেন একাদশে ছিলেন না সের্হিও বুসকেতস ও থিয়াগো আলকানতারার মতো খেলোয়াড়। সের্হিও রামোসবিহীন রক্ষণে কে জুটি বাঁধেন, দেখার অপেক্ষায় ছিলেন সবাই। ভিয়ারিয়ালের পাও তোরেসের সঙ্গে এমেরিক লাপোর্তে জুটি বেঁধেছেন।

একের পর এক আক্রমণ করেও গোলমুখ খুলতে পারেনি স্পেন
ছবি : রয়টার্স

মাঝমাঠে বুসকেতসের জায়গায় রদ্রিকে খেলিয়ে তাঁর পাশে আতলেতিকো মাদ্রিদের কোকে আর বার্সেলোনার পেদ্রিকে সুযোগ করে দিয়েছেন কোচ লুইস এনরিকে। ওদিকে আক্রমণে দানি ওলমোর সঙ্গে ছিলেন আলভারো মোরাতা ও ফেরান তোরেস। কৌশলে বোঝাই গিয়েছিল, স্পেন সরাসরি আক্রমণ করে ম্যাচ পকেটে পুরতে চায়।

প্রথমার্ধে স্পেন অনেক সুযোগ পেয়েছিল। ১৩ মিনিটের দিকেই বেশ কয়েকটা কর্নারও পেয়েছিল দলটা। যে কারণে ৪-৪-২ ছকে ম্যাচ শুরু করা সুইডেন আরও বেশি রক্ষণাত্মক খেলা শুরু করে। এমনকি দুই স্ট্রাইকার আলেক্সান্ডার ইসাক ও মার্কাস বার্গও অনেক বেশি নিচে নেমে খেলছিলেন।

স্পেন তাঁদের স্বাভাবিক খেলাই খেলে গেছে, কিন্তু গোলমুখে এসে সুযোগগুলোর সদ্ব্যবহার করতে পারেনি। প্রথম ১৫ মিনিটে সুইডেন মাত্র ২০টি পাস ঠিকঠাক মতো দিতে পেরেছিল, যেখানে স্পেন দিয়েছে ১৩৯টি। স্পেনের কর্তৃত্ব এই এক তথ্যেই পরিষ্কার। ২১ মিনিটে এমিল ফর্সবার্গের কল্যাণে একটা সুযোগ পেলেও গোল করতে পারেনি সুইডিশরা।

২৩ মিনিটে কোকের একটা শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ২৯ মিনিটেও আবার কোকের কারণ আরেকটা গোল করার সুযোগ হারায় স্পেন। ৩৮ মিনিটে লেফটব্যাক জর্দি আলবা আর স্ট্রাইকার মোরাতা মিলে সুইডেনের গোলমুখ আরেকটু হলে খুলেই ফেলেছিলেন।
৪১ মিনিটে ইসাকের কল্যাণে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল সুইডেন, মার্কোস ইয়োরেন্তে কোনোভাবে সে আক্রমণ আটকান। প্রথমার্ধে এভাবেই দাপট দেখিয়ে গেছে স্পেন।

এভাবেই বারবার আটকে গেছে স্পেন
ছবি : রয়টার্স

দ্বিতীয়ার্ধেও ম্যাচের গল্পে তেমন কোনো বদল আসেনি। স্পেন একের পর এক আক্রমণ করে গেছে, ওদিকে সুইডেন নিজেদের ঘর সামলেছে। ঘর সামলানো শেষ করে মার্কাস বার্গ, ইসাক, ফর্সবার্গরাও উঠেছেন আক্রমণে।

শেষদিকে বিকল্প খেলোয়াড় পাবলো সারাবিয়া ও স্ট্রাইকার জেরার্দ মোরেনো সহজ কিছু সুযোগ নষ্ট করেছেন, না করলে স্পেন হয়তো জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ত।


পরের ম্যাচে এসব সুযোগ যেন আর নষ্ট না হয়, অনুশীলনে সেটাই শিষ্যদের হয়তো বাতলে দেবেন স্পেন কোচ লুইস এনরিকে।