নাটকীয় এক দিনে পাঁচ মিনিটে ৩ গোল করে কাল ইংলিশ প্প্রিমিয়ার লিগ জিতেছে ম্যানচেস্টার সিটি। গত পাঁচ বছরে চতুর্থ লিগ শিরোপা জয়ের পর সিটি সমর্থকদের আবেগটা ছিল দেখার মতো। কোচ পেপ গার্দিওলা বলেছেন, তিনি যোগ দেওয়ার পর কালই সবচেয়ে সেরা আবহ সৃষ্টি করেছেন সিটি সমর্থকেরা। চলুন দেখে নেওয়া যাক কাল সিটির লিগ শিরোপা জেতার জয়োচ্ছ্বাসটা কেমন ছিল।
তখনো শিরোপা জেতা হয়নি, ম্যাচের বাকি আরও বেশ কিছু মিনিট। কিন্তু ম্যানচেস্টার সিটি সমর্থকদের আর অপেক্ষা করতে ইচ্ছা করছিল না। স্মোক বোমা ছুড়ে মেরেছিলেন মাঠে। অ্যাস্টন ভিলার গোলকিপার রবিন ওলসেন মাঠ থেকে সরাচ্ছেন নীল উৎসবের আগমনী বার্তা দেওয়া সেই বোমাকে।
সেই মুহূর্ত। রেফারির বাঁশিতে দীর্ঘ ফুঁ। সেটা থামার অপেক্ষাও করেননি জ্যাক গ্রিলিশরা। ছুটছেন মাঠে থাকা সতীর্থদের দিকে।
মাঠে নেমে উল্লাসের স্বাদটা সমর্থকেরাও পেতে চাইলেন। মুহূর্তেই ইতিহাদের গ্যালারি খালি হয়ে গেল। দর্শকেরা সবাই নেমে এলেন মাঠে।
বাবার কাঁধে চড়ে জয়োল্লাসে মেতেছে তারা দুজন।
সমর্থকদের ভালোবাসার চাপ আর নিতে পারেনি গোলপোস্ট। উদ্যাপনের মাঝপথে একদম বেঁকে বসেছে!
উদ্দাম আনন্দ তাঁকে কোথায় নিয়ে এল!
গোলপোস্ট আর পারল না, ভেঙেই পড়ল। পতনের সঙ্গী বেশ কিছু সমর্থক।
গোলপোস্ট ভেঙে পড়ার আগেই এমন একটা ছবি তুলতে পারায় নিজেকে ভাগ্যবান ভাবতেই পারেন এই সিটি-সমর্থক।
ট্রফির জন্য অপেক্ষা। তার আগে নিজেদের সাফল্য নিয়ে খোশগল্পে মেতেছেন পেপ গার্দিওলা ও ম্যানচেস্টার সিটির আমিরাতি চেয়ারম্যান খালদুন আল-মুবারাক।
সেই মুহূর্ত, যার জন্য এক মৌসুম ধরে লড়েছেন তাঁরা। ট্রফি হাতে ম্যান সিটির ফুটবলাররা।
পাঁচ বছরে চতুর্থ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ট্রফি! পেপ গার্দিওলা প্রায় অসম্ভব কিছুই করে দেখালেন।
তাঁর দেশ ইউক্রেনে যুদ্ধ চলছে, এর মধ্যে তাঁর এই সাফল্য। ম্যানসিটি ডিফেন্ডার ওলেক্সান্দর জিনচেঙ্কো তাই ট্রফিটা মুড়িয়ে নিলেন দেশের পতাকায়।
সিটির জার্সিতে আর দেখা যাবে না ফার্নান্দিনিওকে। ৩৭ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডারকে তাই স্মৃতিতে গেঁথে যাওয়ার মতো বিদায়ী সংবর্ধনা সতীর্থদের।