নেদারল্যান্ডসের জয়রথ ছুটছেই
ম্যাচটি ছিল শুধুই আনুষ্ঠানিকতার। শুধু শেষ ষোলোই নয়, আগের দুই ম্যাচ জিতে গ্রুপের শীর্ষে থাকটাও নিশ্চিত করে ফেলেছিল নেদারল্যান্ডস। অন্যদিকে তাদের আজকের প্রতিপক্ষ উত্তর মেসিডোনিয়ার গ্রুপপর্ব থেকে বিদায়ও নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগেই। নেদারল্যান্ডসের জন্য ম্যাচটি ছিল তাদের জয়রথ আরও ছুটিয়ে নিয়ে যাওয়ার। আর আগের দুই ম্যাচে হেরে যাওয়া মেসিডোনিয়ার জন্য ছিল কিছু সুখস্মৃতি নিয়ে ফেরার উপলক্ষ।
এমন একটি লড়াইয়ে মেসিডোনিয়া দুবার নেদারল্যান্ডসের জালে বল পাঠিয়েছিল। কিন্তু দুবারই তাদের গোল বাতিল হয়েছে অফসাইডের কারণে। অন্যদিকে মেসিডোনিয়ার জালে তিনবার বল পাঠিয়ে ম্যাচটি নেদারল্যান্ডস জিতেছে ৩-০ গোলে। জোড়া গোল করেছেন কদিন আগেই পিএসজির সঙ্গে চুক্তি করা লিভারপুলে সদ্য সাবেক হওয়া মিডফিল্ডার জর্জো ভাইনালডাম। দলের অন্য গোলটি করেছেন বার্সেলোনার সঙ্গে দুই মৌসুমের জন্য চুক্তি নিশ্চিত করা মেম্ফিস ডিপাই। ভাইনাডামের একটি গোলে অবদানও রেখেছেন তিনি।
এবারের ইউরোর অন্যতম ফেবারিট নেদারল্যান্ডসের আক্রমণ দিয়েই শুরু হয় ম্যাচ। তবে নবম মিনিটে খেলার ধারার বিপরীতে ডাচদের জালে বল পাঠায় মেসিডোনিয়া। গোরান পানদেভের পাস থেকে গোলটি করে খুব বেশিক্ষণ উচ্ছ্বাস করতে পারেননি ত্রিকোভস্কি। লাইন্সম্যানের পতাকা জেগে ওঠে, রেফারি অফসাইডের বাঁশি বাজান।
এরপর কিছুক্ষণ এলোমেলো খেলা হলেও ডাচরা নিজেদের গুছিয়ে নেয় দ্রুত। ২৪ মিনিটে গোলও পেয়ে যায় তারা। গোলটি আসে দুর্দান্ত এক প্রতি আক্রমণ থেকে। নিজেদের অর্ধে বল পেয়ে মেসিডোনিয়ার দুজন খেলোয়াড়কে পেছনে ফেলে বল এগিয়ে যান ম্যালেন। মাঝমাঠ পেরিয়ে আরেক সতীর্থকে বল দিয়ে তিনি চলে যান ডান প্রান্তে। সেখান থেকে আবার বল পেয়ে বক্সের মধ্যে পাস দেন ডিপাইকে। দুর্দান্ত এক ড্রাইভ শটে ডিপাই বল পাঠান জালে।
প্রথমার্ধে বলার মতো তেমন কোনো আক্রমণ আর করতে পারেনি ডাচরা। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মেসিডোনিয়ার রক্ষণে আক্রমণের পসরা সাজায় তারা। ৭ মিনিটের মধ্যে ভাইনালডামের পাওয়া দুই গোলে ম্যাচটি একেবারেই নিজেদের করে নেয় নেদারল্যান্ডস। ৫১ মিনিটে ডিপাইয়ের পাসে গোল পান ভাইনালডাম। ৫৮ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি তিনি করেন একক নৈপুণ্যে। ভাইনালডাম এরপর হ্যাটট্রিক করার জন্য একাধিক সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেননি।
অন্তত একটি গোল ফেরত দিতে মরিয়া মেসিডোনিয়া ৭১ মিনিটে আবার নেদারল্যান্ডসের জালে বল পাঠায়। কিন্তু হায়, এবারও অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায় বদলি হিসেবে নামা চুর্লিনভের গোল। এ ম্যাচ দিয়ে দুই দশকের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ করা পানদভকে তাই ফিরতে হয়েছে খালি হাতেই।
দিনের আরেক ম্যাচে ইউক্রেনকে ১-০ গোলে হারিয়ে 'সি' গ্রুপ থেকে সরাসরি শেষ ষোলোতে জায়গা করে নিয়েছে অস্ট্রিয়া। গ্রুপপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচটি হেরে ইউক্রেনকে এখন অপেক্ষা করতে হচ্ছে সেরা তৃতীয় দলের একটি হয়ে শেষ ষোলোতে জায়গা করে নেওয়ার জন্য।