পরকীয়ায় ধরা পড়ে স্ত্রীকে গাড়িধাক্কা...অতঃপর পুলিশ থেকে লুকিয়ে আর্জেন্টাইন ফুটবলার
একসময় সংবাদমাধ্যমের পাতায় এদুয়ার্দো ‘তোতো’ সালভিওর নাম আসত প্রতিভাবান আর্জেন্টাইন উইঙ্গার হওয়ার কারণে। মেসি ছাড়াও হাভিয়ের পাস্তোরে, ইজেকিয়েল লাভেৎসি, আনহেল দি মারিয়াদের পাশাপাশি উচ্চারিত হতো তাঁর নামও।
আতলেতিকো মাদ্রিদ, বেনফিকার হয়ে দুর্দান্ত খেলে নজরে পড়েছিলেন তৎকালীন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ম্যানেজার লুই ফন গালের, যদিও পরে ইউনাইটেডে যাওয়া হয়নি তাঁর। সাত বছর বেনফিকায় কাটিয়ে ২০১৯ সালে যোগ দিয়েছিলেন বিখ্যাত আর্জেন্টাইন ক্লাব বোকা জুনিয়র্সে, এখনো সেখানেই আছেন।
ফুটবলীয় শৈলীর জন্য এখন আর আলোচনায় না–থাকা এই ফুটবলার এবার সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত এক কারণে। ৩১ বছর বয়সী এই উইঙ্গার ১০ বছর ধরে সংসার করেছেন আর্জেন্টাইন মডেল মাগালি আরাভেনার সঙ্গে। আছে দুই সন্তানও।
সম্প্রতি দুজন আলাদা আছেন। এমন অবস্থায় নিজের গাড়িতে পরকীয়া করতে গিয়ে সাবেক স্ত্রী আরাভেনার কাছে ধরা পড়েছেন সালভিও। এক কথা দুই কথা করতে করতে তর্কে জড়িয়ে পড়েন দুজন। স্ত্রী তাঁকে আটকাতে গাড়ির সামনে চলে আসেন। সালভিও তোয়াক্কা করেননি সেটা। জোরে গাড়ি চালিয়ে স্ত্রীকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে গেছেন মেসিদের সাবেক এই সতীর্থ। রাস্তার পুলিশও তাঁকে ধরতে পারেনি।
সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে এই অভাবনীয় দৃশ্য। আর্জেন্টিনার পুয়ের্তো মাদেরো অঞ্চলে গত পরশু মাঝরাতে এ ঘটনা ঘটেছে।
আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম ‘ওলে’ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার কারণে পায়ের নিচে চোট পেয়েছেন সালভিওর সাবেক স্ত্রী আরাভেনা। কপাল ভালো, হাসপাতালে নিতে হয়নি তাঁকে। পরে সুস্থ হয়ে পুলিশের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছেন আরাভেনা। পুলিশ এখন খুঁজছে তাঁকে।
পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, 'এক নারী তাঁর স্বামীর সঙ্গে কথা বলার জন্য গাড়ির কাছে যান, যে গাড়িতে তাঁর স্বামী আরেক নারীর সঙ্গে ছিলেন। অভিযুক্ত এমন অবস্থায় তাড়াতাড়ি গাড়ি নিয়ে মিসেস আরাভেনাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যান।'
বুয়েনেস এইরেসের অ্যাম্বুলেন্স প্রধান আলবের্তো ক্রিসেন্তি জানিয়েছেন, ‘নগর পুলিশ আমাদের জানিয়েছে ব্যাপারটা। তারা একজন নারীকে খুঁজে পেয়েছে যে হাঁটুর নিচে চোট পেয়েছে। তবে, চোট অত গুরুতর ছিল না, তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়নি।’
আর্জেন্টিনার হয়ে ১৪ ম্যাচ খেলেছেন সালভিও। গত বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচে রাইটব্যাক হিসেবে খেলেছিলেন এই উইঙ্গার। আতলেতিকো মাদ্রিদের হয়ে দুবার ইউরোপা লিগের শিরোপাও জিতেছেন।