পেলের অস্ত্রোপচার, এখন শঙ্কামুক্ত

ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার পেলেছবি: পেলের ফেসবুক পেজ

কয়েক মাস আগেই ধরাধাম ত্যাগ করেছেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা। জীবনের সায়াহ্নে পৌঁছে গেছেন পেলেও। ব্রাজিলের যে কিংবদন্তির সঙ্গে ম্যারাডোনার টক্কর চলেছে সমানে-সমান। শারীরিকভাবে খুব যে ভালো আছেন পেলে, বলা যাবে না। এমনই এক খবর সম্প্রতি চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল ভক্ত-সমর্থকদের।

খবর এসেছিল, অজানা এক রোগে ছয় দিন ধরে সাও পাওলোর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ভর্তি আছেন পেলে। রোগ অজানা হলেও পেলেকে নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই, জানিয়েছিলেন তাঁর ম্যানেজার জো ফ্রাগা। এবার রোগটা সম্পর্কে জানা গেল। মলাশয়ে অস্ত্রোপচার হয়েছে এই ব্রাজিল কিংবদন্তির।

ব্রাজিলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক গোলও করেছেন পেলে, ৭৭টা
ফাইল ছবি

অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে, খুশির খবর এটাই। পেলে নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবাইকে এই সুসংবাদ দিয়েছেন। ইনস্টাগ্রামে পেলে লিখেছেন, ‘বন্ধুরা, সবাইকে ধন্যবাদ জানাই আমার খোঁজ নেওয়ার জন্য, আমাকে মেসেজ পাঠানোর জন্য। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই, কারণ আমি এখন ভালো বোধ করছি। ডঃ ফাবিও ও ডঃ মিগেলকে ধন্যবাদ জানাই আমাদের প্রতি খেয়াল রাখার জন্য। গত শনিবার মলাশয়ের ডানদিকে সন্দেহজনক টিউমার অপসারণের জন্য আমার অস্ত্রোপচার করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে যে টিউমার ধরা পড়েছিল।’

শরীরের অবস্থা যতো খারাপ হোক না কেন, হাসিমুখে বরাবরের মতো সকল প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করবেন বলে জানিয়েছেন ৮০ বছর বয়সী এই মহাতারকা, ‘সৌভাগ্যজনকভাবে দুর্দান্ত বিজয়গুলো সবার সঙ্গে উদযাপন করতে পারার অভ্যাস আমার আছে। এই ম্যাচটাও আমি হাসিমুখে ইতিবাচকতার সঙ্গে খেলব। আমার পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের ভালোবাসা নিয়ে।’

সান্তোসের জার্সিতে পেলে
ছবি: সংগৃহীত

ওদিকে পেলেকে নিয়ে একটা বিবৃতি প্রকাশ করেছে সাও পাওলো হাসপাতাল। তাঁরা জানিয়েছে, আপাতত পেলেকে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে রাখা হলেও আজকালের মধ্যেই তাঁকে সাধারণ কেবিনে নিয়ে যাওয়া হবে। পেলের মলাশয়ের সেই টিউমার আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

২০১২ সালে নিতম্ব প্রতিস্থাপন সার্জারি হয়েছিল পেলের, যা সফল হয়নি। এরপর থেকে হুইলচেয়ারেই চলাচল করেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পেলেকে এখন আর আগের মতো দেখা যায় না। এ ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে কিডনি ও প্রোস্টেটের সমস্যার জন্যেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে।

ফুটবল ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম তারকাদের একজন পেলে। তিনিই একমাত্র ফুটবলার, যিনি বিশ্বকাপ জিতেছেন তিনবার। পেলের তিন বিশ্বকাপ জয়ের কীর্তি আর কারও কখনো ছোঁয়া হবে কি না সংশয় আছে। ক্লাব ক্যারিয়ারে আলো ছড়িয়েছেন সান্তোস ও নিউ ইয়র্ক কসমসের হয়ে। ব্রাজিলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক গোলও করেছেন পেলে, ৭৭টা।