প্রথম দেখায় শুধু মেসির হাসিটাই বুঝেছেন

মেসিকে দেখার অভিজ্ঞতাটা দারুণ কিছুই ছিল দেস্তের জন্য।ছবি: রয়টার্স

‘লিওনেল মেসি বিশ্বের সেরা’ কিংবা ‘লিওনেল মেসি ইতিহাসের সেরা।’

গত কয়েক বছরে বার্সেলোনায় এসে কোনো খেলোয়াড়কে এমন কথা বলতে শোনা যায়নি, এমনটা সম্ভবত হয়নি। সের্হিনিও দেস্তই বা বাদ যাবেন কেন! অনেক নাটকের পর আয়াক্স থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ১৯ বছর বয়সী রাইটব্যাককে বায়ার্ন মিউনিখের গ্রাস থেকে কেড়ে এনেছে বার্সা। এসেই দেস্ত জানালেন, সর্বকালের সেরা মেসির সঙ্গে খেলা তাঁর স্বপ্ন ছিল। মেসির জন্য নিজের ফুসফুসের সব শক্তি দিয়ে দৌড়াবেন!

সেই মেসির সঙ্গে যখন প্রথম দেখা হলো, দেস্তের অনুভূতি কী ছিল? সেটিই জানিয়েছেন ডাচ মা ও মার্কিন বাবার সন্তান দেস্ত। খুশি যে হয়েছেন, তা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে একটাই সমস্যা হয়েছে, মেসির কথা কিছুই বুঝতে পারেননি দেস্ত।

সময়ের সেরা ফুটবলারদের একজনকে সামনে দেখার অনুভূতিতে বিবশ হয়ে ছিলেন, সে কারণে শুনতে পারেননি—ব্যাপারটা মোটেও এমন নয়। মেসির ভাষাই যে বোঝেন না দেস্ত, তাঁর কথা বুঝবেন কী করে? যুক্তরাষ্ট্রের বলে ইংরেজি তো পারেনই, আমস্টারডামে আয়াক্সের যুব একাডেমিতে বেড়ে ওঠা দেস্তের ডাচ ভাষাটায়ও ভালো দখল থাকার কথা। কিন্তু স্প্যানিশ তো শেখা হয়নি! ওদিকে মেসি স্প্যানিশেই কথা বলেন।

ডাচ টিভি শো এনওএসে মেসিকে দেখার অভিজ্ঞতায় সেটি নিয়ে মজা করে দেস্ত বললেন, ‘সবার সঙ্গেই আজ দেখা হয়েছে। মেসির সঙ্গেও। তিনি ইংরেজি বলেন না, তবে তাঁর সঙ্গে দেখা হওয়াটা বিশেষ কিছুই ছিল।’ ভাষার ব্যবধানটা যে দেস্তের অভিজ্ঞতাকে পূর্ণ হতে দেয়নি, হাসতে হাসতে সেটিও বললেন দেস্ত, ‘সত্যি বলতে তিনি আমাকে কী বলেছেন সেটা আমি বুঝিইনি। কিন্তু আমরা দুজনই যেহেতু হাসছিলাম, তার মানে সবকিছু তো দারুণই ছিল, তাই না?’

মেসির সঙ্গে দেখা হয়েছে, বাংলাদেশ সময় আজ রাত ১টায় সেভিয়ার বিপক্ষে বার্সেলোনার ম্যাচটিতে মেসির পাশে খেলার অভিজ্ঞতাও হয়তো হয়ে যেতে পারে দেস্তের। তরুণ রাইটব্যাককে ম্যাচের স্কোয়াডে রেখেছেন বার্সেলোনা কোচ রোনাল্ড কোমান।

বার্সায় আয়াক্স থেকে আসা দুজন—ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং ও সের্হিনিও দেস্ত (ডানে)।
ছবি: বার্সেলোনা টুইটার

তবে একটু এদিক-ওদিক হলেই বার্সার নয়, দেস্ত হয়ে যেতেন বায়ার্ন মিউনিখের। আয়াক্সের সঙ্গে তখন বায়ার্নের কথাবার্তা চলছিল, দেস্তের বায়ার্নে যাওয়াও ঠিকঠাক বলে মনে হচ্ছিল, এর মধ্যেই বার্সেলোনা ঢুকে পড়ে দলবদলের আলোচনায়। বার্সা তাঁকে পেতে আগ্রহী শুনেই দেস্তেরও মন বদলে যায়। বায়ার্নের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে অপেক্ষায় থাকেন বার্সা-আয়াক্সের সমঝোতার। বার্সার প্রতি টান যে তাঁর পুরোনো!

মেসিকে দেখার মুগ্ধতা অনেক বেশি হলেও বার্সার প্রতি দেস্তের সেই টান মেসি নয়, রোনালদিনিওকে দেখে। বায়ার্নকে ফিরিয়ে দিয়ে কেন বার্সাকে বেছে নিয়েছেন, সে ব্যাখ্যায় তা-ই বললেন দেস্ত, ‘বার্সেলোনাকে বেছে নিয়েছি, কারণ বার্সায় খেলার স্বপ্ন সব সময়ই দেখেছি আমি। রোনালদিনিও আমার আইডল, এই ক্লাবের একজন কিংবদন্তি। যখন বার্সেলোনার আগ্রহের কথা শুনলাম, এরপর আর দ্বিতীয়বার ভাবতে হয়নি আমাকে।’