আটাশ বছরের পাষাণভার মাথার ওপর। শিরোপা জেতার চাপ অন্য যেকোনো সময়ের চেয়েই বেশি আর্জেন্টিনার।
সে দিক থেকে ব্রাজিল একটু হলেও নির্ভার। গত আসরের কোপা যে জিতেছে তারাই। কিন্তু তা সত্ত্বেও, সব দিক বিবেচনা করলে কোপা আমেরিকার ফাইনালে ফেবারিট ব্রাজিল। সেটা দলগত রসায়নের দিক দিয়ে হোক, অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী স্কোয়াড থাকার কারণে হোক, নিজের মাঠে খেলা হওয়ার কারণে হোক, বা নেইমারের উপস্থিতির কারণে হোক।
প্রত্যেকটি ব্যাপারই বোঝেন আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি। আর বোঝেন বলেই, ফাইনালের আগে একটু রক্ষণাত্মকই মনে হলো খেলোয়াড়ি জীবনে রাইটব্যাক পজিশনে খেলা এই কোচকে, ‘আমরা ব্রাজিলকে পর্যালোচনা করছি। আমরা জানি ওরা কেমন দল। ওদের শক্তির জায়গা কোনটা। আমরা আগেভাগে সতর্ক থাকছি, আমরা চেষ্টা করব ম্যাচে ওদের কষ্ট দেওয়ার।’
এই ম্যাচকে আর দশটা ম্যাচের মতো করেই দেখছেন স্কালোনি, ‘এটা একটা ফাইনাল ম্যাচ। আমাকে ম্যাচের মতোই নিতে হবে পুরো বিষয়টাকে। ম্যাচ শেষ হলে আবার জীবন জীবনের মতো চলতে থাকবে।’
ম্যাচ হবে ব্রাজিলের বিখ্যাত মারাকানা স্টেডিয়ামে। ফুটবলের হাজারো ইতিহাস যে মাঠের পরতে পরতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। ব্যাপারটা কী একটু হলেও স্কালোনিকে চিন্তায় ফেলছে না?
হাজার হোক, শত্রুর মাঠে খেলা। সংবাদ সম্মেলনে যদিও সেটা নিয়ে ভয়ের আঁচ ছিল না স্কালোনির গলায়, 'এটা একটা ফাইনাল ম্যাচ। ফাইনাল ম্যাচটা যদি বুয়েনেই এইরেস, কিংবা সান্তিয়াগো দে চিলিতেও হতো, তাও আমরা একই পরিকল্পনা নিয়ে খেলতাম। হ্যাঁ, মারাকানার একটা ঐতিহ্যগত মূল্য আছে। সেভাবেই খেলতে হবে।’
তবে ম্যাচের ফলাফল যাই হোক না কেন, শিষ্যরা এর মধ্যেই গর্বিত করেছেন স্কালোনিকে, ‘আমি যে দলকে নিয়ে এসেছি, তাঁদের প্রত্যেককে নিয়ে আমি গর্বিত। তাঁরা আমাদের দেখিয়েছে কীভাবে দেশকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরতে হয়। অনেকেই বহুদিন ধরে নিজেদের পরিবার-পরিজনকে দেখতে পাচ্ছে না।’