বাংলাদেশের বিদায়ী কোচদেরই পছন্দ হচ্ছে ইস্ট বেঙ্গলের

তাঁরা এখন অতীতফাইল ছবি

গোলরক্ষক কোচ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ভারতের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব ইস্ট বেঙ্গলের নজরটা তাহলে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ওপরেই থাকে! আপাতদৃষ্টে এমনটা মনে হওয়াই স্বাভাবিক। টানা দুই বছরে দুজন গোলরক্ষক কোচ নিয়োগ দিয়েছে ইস্ট বেঙ্গল। আর দুজনই ছিলেন বাংলাদেশ দলের গোলরক্ষক কোচ।

কলকাতার ঐতিহ্যবাহী দলটি আজ তাদের নতুন মৌসুমের গোলরক্ষক কোচ হিসেবে লেস ক্লিভলির নাম ঘোষণা করেছে। কয়েক দিন আগেই যাঁকে ছেড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে বাংলাদেশের আরেক ইংলিশ গোলরক্ষক কোচ ববি মিমসকেও নিয়েছিল কলকাতার ক্লাবটি।

বাংলাদেশের ৪ গোলরক্ষকের সঙ্গে লেস ক্লিভলি
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

গত বছর নভেম্বরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত নেপালের বিপক্ষে মুজিব বর্ষ সিরিজের আগে ক্লিভলিকে নিয়োগ দেয় বাফুফে। কয়েক দিন আগেও ক্লিভলি ছিলেন আনিসুর রহমান, আশরাফুল রানাদের কোচ। কিন্তু ১৭ সেপ্টেম্বর বিদায় করে দেওয়া হয় জেমি ডেকে। অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় বসুন্ধরা কিংসের কোচ অস্কার ব্রুজোনকে। তিনি বসুন্ধরা কিংসে তাঁর সঙ্গে থাকা কোচিং স্টাফ নিয়ে জাতীয় দল পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিলে বিদায়ঘণ্টা বেজে যায় ক্লিভলির। ২২ সেপ্টেম্বর জেমির সঙ্গে ঢাকা ছেড়েছেন তিনিও।

চার দিন না যেতেই আজ আইএসএলের দল ইস্ট বেঙ্গল তাদের গোলরক্ষক কোচ হিসেবে ঘোষণা করল ক্লিভলির নাম। খুব শিগগির দলের সঙ্গে গোয়ায় যোগ দেবেন বলে জানা গেছে। ক্লিভলি বাংলাদেশে এসেছিলেন তাঁরই স্বদেশি ববি মিমসের জায়গায়।
২০১৯ সালে বাংলাদেশ জাতীয় দলের গোলরক্ষক কোচ হয়ে এসেছিলেন মিমস। লাওসের বিপক্ষে বিশ্বকাপ প্রাক্-বাছাইয়ের আগে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।

ম্যানচেস্টার সিটি, টটেনহাম ও এভারটনের মতো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের বড় বড় ক্লাবে খেলার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। গত বছরের শুরুতে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপেও বাংলাদেশের গোলরক্ষকদের দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। গত বছর আইএসএল ফেরার পর তাঁকে গোলরক্ষক কোচ হিসেবে নেয় ইস্ট বেঙ্গল। তাঁদের সাবেক কোচ রবি ফ্লাওয়ারের পছন্দে নেওয়া হয়েছিল মিমসকে।