মা-বাবার পাশে ঘুমোবেন ম্যারাডোনা
বিদায় তাহলে হয়েই গেল! ডিয়েগো ম্যারাডোনা মারা গেছেন কাল। এখন চলছে তাঁকে চিরবিদায় জানানোর প্রস্তুতি। খয়েরি কফিনে ঢাকা পড়েছেন কিংবদন্তি। আর্জেন্টিনার পতাকায় মোড়ানো এ কফিনের ওপর রাখা হয়েছে ১০ নম্বর জার্সিও।
বুয়েনস এইরেসের প্রেসিডেনশিয়াল প্যালেসে আনা হয়েছে তাঁর কফিন। আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁকে সমাহিত করা হতে পারে বুয়েনস এইরেসের উপকণ্ঠে জারদিন দে পাজ সমাধিক্ষেত্রে।
অর্থাৎ, বাংলাদেশ সময় কাল সকাল নাগাদ সমাহিত হতে পারেন কিংবদন্তি। রোমান ক্যাথলিক পরিবারে জন্ম নেওয়া ম্যারাডোনার বাবা-মা সমাহিত রয়েছেন জারদিন দে পাজ সমাধিক্ষেত্রে।
বাবা-মায়ের সমাধিক্ষেত্রের পাশেই ম্যারাডোনাকে দাফন করা হতে পারে, সূত্র মারফত জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএফপি।
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেনশিয়াল প্যালেস কাসা রোসাদায় সকাল থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত রাখা ছিল ম্যারাডোনাকে বহনকারী কফিন। বুয়েনস এইরেসে সময় সকাল ছয়টা থেকে সবার জন্য খুলে দেওয়ার কথা ছিল কাসা রোসাদার মূল ফটক।
ম্যারাডোনার পরিবারকে শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ দেওয়া হয় সবার আগে। ’৮৬ বিশ্বকাপ কিংবদন্তিকে শেষবারের মতো দেখে গেছেন তাঁর সাবেক স্ত্রী ক্লদিয়া ভিয়াফানে, দুই কন্যা দালমা ও জিয়ান্নিনা।
দেখে গেছেন তাঁর আরেক সাবেক স্ত্রী ভেরোনিকা ওজেদা ও সর্বকনিষ্ঠ সন্তান ফার্নান্দো ম্যারাডোনা ওজেদা। এসেছিলেন ম্যারাডোনার সর্বশেষ বান্ধবী রোসিও অলিভিয়াও।
তবে রোসিও অলিভিয়াকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি প্রেসিডেনশিয়াল প্যালেসে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অলিভিয়া দেরি করে আসায় তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তবে অলিভিয়া জানিয়েছেন তাঁকে সাধারণ মানুষের ভিড়ের মধ্যে ঢুকতে বলা হয়েছিল, পরিবারের একজন হিসেবে যেটা খুব আপত্তিকর। কাল হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে ৬০ বছর বয়সে মারা যান ম্যারাডোনা।