টিকি-টাকা। শব্দ দুটো শুনে হয়তো একটা দলই কল্পনায় ভেসে ওঠে—বার্সেলোনা। পুরো মাঠে নিরলস-নিরবচ্ছিন্ন নিখুঁত পাসিং তো শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে কাতালান দলটাই। তবে চলতি মৌসুমে এই দাবিটা করতে পারছে না বার্সা, অন্তত পরিসংখ্যানের হিসাবে। পাসিং অ্যাকুরেসি কিংবা নিখুঁত পাস দেওয়ার হিসাবে স্পেনেই শীর্ষস্থানটা বার্সার দখলে নেই। এ দিক দিয়ে তাদের টপকে গেছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ।
মৌসুমে লিগে এ পর্যন্ত নয়টি ম্যাচ হয়েছে। অপ্টা স্পোর্টস-এর তথ্য, এ পর্যন্ত রিয়ালের খেলোয়াড়দের ৮৭.২৫ শতাংশ পাসই খুঁজে পেয়েছে সতীর্থকে। তুলনায় বার্সা অনেকটাই পিছিয়ে, তাদের পাসিং অ্যাকুরেসি ৮৫.৪৩ শতাংশ। বার্সার এত দিনের মোক্ষম অস্ত্রটিতে এ মৌসুমে সবচেয়ে বেশি ধারালো দেখাচ্ছে রাফায়েল বেনিতেজের রিয়ালকেই।
তথ্যটা গুরুত্ব পাচ্ছে, কারণ গত ১০ বছরে এবারই প্রথম এমনটা হলো। সর্বশেষ ২০০৫-০৬ সালে বার্সাকে পাসিং অ্যাকুরেসির হিসাবে টপকে গিয়েছিল রিয়াল। ফ্রাঙ্ক রাইকার্ডের দলের ৮২.৫৪ শতাংশের বিপরীতে রাউল-বেকহাম-রোনালদোর রিয়ালের নিখুঁত পাসের হার ছিল ৮৩.৭৭ শতাংশ।
বার্সার এমন ‘পড়তি’র কারণ কি তবে নিজেদের খেলা থেকে কিছুটা সরে আসা? জাভি-ইনিয়েস্তা-মেসির যুগলবন্দিটাকে কি মিস করছে বার্সেলোনা? হ্যাঁ, এটা ঠিক, গত মৌসুমেও পুরোদস্তুর টিকি-টাকা না খেলেও ট্রেবল জিতেছে লুইস এনরিকের দল। কিন্তু মেসি-ইনিয়েস্তারা তো সব সময় ছিলেন। আর একটু ক্ষীণ নিয়ন্ত্রণে হলেও রিংমাস্টার একজন তো ছিলেন—জাভি।
নিখুঁত পাসিংয়ে বার্সাকে এক দশক পর টপকে যাওয়ার সংবাদে রিয়াল সমর্থকেরা খুশি হতে পারে। কিন্তু ইতিহাস বলছে, ২০০৫-০৬-এর সেই মৌসুমে কিন্তু রিয়াল নয়, লিগ জিতেছে রোনালদিনহোর বার্সাই। উল্টো পরের বছর রিয়ালের যে দলটা শিরোপা জেতে, তাদের পাসিং অ্যাকুরেসি এর আগে দুই দশকে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে কম ছিল! তথ্যসূত্র: গোলডটকম।