জানুয়ারিতে সুপার কাপে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ৩-২ গোলে হেরেও সান্ত্বনা খুঁজে নিয়েছিল বার্সেলোনা। জাভি তখনো বার্সার ডাগআউটে যাওয়ার মাস দুয়েকও হয়নি, এর মধ্যেই এল ক্লাসিকোতে বার্সার উজ্জীবিত পারফরম্যান্সের পর পিকে-লাপোর্তাদের কণ্ঠে ছিল আশার গান। সুরটা এই, জাভির অধীনে বার্সা ঘুরে দাঁড়াবে।
ঘুরে দাঁড়িয়েছে বার্সা। লিগে এক সময়ে আট-নয়ে ধুঁকতে থাকা বার্সা এখন তিন নম্বরে, ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেছে। দলের ফুটবলেও প্রাণের ছোঁয়া। কিন্তু কতটুকু আসলে এগিয়েছে বার্সা, সেটির সবচেয়ে বড় পরীক্ষা সম্ভবত আজ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে। রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে মহারণে।
‘যুদ্ধে’ জাভি দল কীভাবে সাজাবেন? স্প্যানিশ দৈনিক এএস একটা ধারণা দিচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার ইউরোপা লিগের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে গ্যালাতাসারাইয়ের মাঠে যে একাদশ নামিয়েছিল বার্সা, আজ সে একাদশে খুব বেশি বদলের সম্ভাবনা নেই।
চোটে পড়ায় রাইটব্যাক সের্হিনিও দেস্ত আজ খেলতে পারছেন না। সে ক্ষেত্রে রাইটব্যাকে দানি আলভেজকে খেলানোর সম্ভাবনাই বেশি। কিন্তু ৩৮ বছর বয়সী আলভেজ তো মূলত এখন ‘ইনভার্টেড ফুলব্যাক’ হিসেবে খেলেন, অর্থাৎ দল আক্রমণে উঠলে বাইলাইন ধরে সোজা উঠে না গিয়ে মাঠের মাঝের দিকে চলে আসেন।
সে ক্ষেত্রে ডানপ্রান্তে মাঠের সীমানায় থেকে মাঠ বড় করার জন্য তো কাউকে লাগবে জাভির। সেটি কে হবেন - দেম্বেলে নাকি আদামা ত্রায়োরে? এটিই ছিল বার্সাকে ঘিরে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। এএস অবশ্য জানাচ্ছে, সেটি ত্রায়োরে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
এর বাইরে অবশ্য বার্সার বাকি দশজন নিয়ে সম্ভবত খুব একটা ভাবতে হয় না। গোলপোস্টে টের স্টেগেনকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো কেউ নেই বার্সায়। সেন্টারব্যাক হিসেবে পিকে আর এরিক গার্সিয়াকেই বেশি পছন্দ জাভির। লেফটব্যাকে জর্দি আলবারও কোনো বিকল্প নেই। রাইটব্যাক আলভেজ।
মাঝমাঠে সের্হিও বুসকেতসের সঙ্গে ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং আর পেদ্রি তো বলতে গেলে নিশ্চিতই। আর আক্রমণে ডানপাশে ত্রায়োরে, দেম্বেলে আর গাভির যিনিই খেলুন, মাঝে ফেরান তোরেস আর বাঁয়ে অবামেয়াং নিশ্চিতই!
বার্সার সম্ভাব্য একাদশ
টের স্টেগেন, আলভেজ, গার্সিয়া, পিকে, আলবা, ডি ইয়ং, বুসকেতস, পেদ্রি, ত্রায়োরে/দেম্বেলে, অবামেয়াং, তোরেস।