বার্সায় কিছু ট্রফি রেখে এসেছেন মেসি
লিওনেল মেসি এখন পিএসজির। বার্সেলোনা তাঁর সোনালি অতীত। মেসি চলে আসার পর তাঁর ‘অতীত’ মুছে ফেলেছে বার্সা। না, কাতালান ক্লাবটির হয়ে তাঁর অর্জনের ভান্ডার তো মুছে ফেলা সম্ভব না।
ইতিহাসের পাতায় তা সোনার অক্ষরে লেখা থাকবে। ক্যাম্প ন্যু স্টেডিয়ামের ফটক এবং ড্রেসিংরুম থেকে মেসির ছবি, ব্যানার ও ট্রফি সরিয়ে ফেলেছে বার্সা। তবে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এএস জানিয়েছে, মেসি বার্সা ছেড়ে চলে আসার সময় তাঁর সব কিছু নিয়ে আসেননি।
বার্সায় খেলোয়াড়দের লকার রুমে মেসির লকার খালি পড়ে আছে। দুই দরজার এই লকারে মেসি এখন শুধুই স্মৃতি। তার পাশের লকারটি সের্হিও আগুয়েরোর—মেসির ক্লাব সতীর্থ হতে চেয়েও না পারা আর্জেন্টিনা জাতীয় দল সতীর্থ।
মেসির সঙ্গে বার্সেলোনায় একসঙ্গে খেলার আশা নিয়ে ক্যাম্প ন্যুতে এসেছিলেন আগুয়েরো। কিন্তু ৮ আগস্ট বার্সাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানান মেসি। সেদিন ক্যাম্প ন্যুর ড্রেসিংরুমে যান তিনি। লকার থেকে নিজের জিনিসপত্র নিয়ে আসেন।
এত দিন লকারেই সেসব পড়ে ছিল।
কারণ, মেসি বার্সার সঙ্গে নতুন চুক্তি করবেন, বার্সাতেই থাকবেন—তখন এমন পরিস্থিতি থাকায় লকার থেকে নিজের জিনিসপত্র আর নেননি আর্জেন্টাইন তারকা।
নিজের লকার থেকে মেসি সবকিছু নিয়ে যেতে পারেননি। কিছু ট্রফির ওজন অনেক বেশি। একটি আরেকটির চেয়ে ভারী। মেসি তাই টানাহেঁচড়ার মধ্যে যাননি। কিছু ট্রফি রেখে আসতে হয়েছে।
এর মধ্যে ২০১৮ সালে প্রাক–মৌসুম আয়োজন হোয়ান গাম্পার ট্রফিতে সেরা খেলোয়াড়ের পুরষ্কারও রয়েছে। বোকা জুনিয়র্সের বিপক্ষে সে ম্যাচে বার্সার ৩–০ গোলের জয়ে নিজে গোল করার পাশাপাশি আরও একটি গোল সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন মেসি।
সেরা খেলোয়াড়ের সেই পুরষ্কার লকারের ওপর রেখে এসেছেন তিনি। এ মৌসুমে অন্য কেউ হয়তো এই লকার নেবেন। তবে এখন পর্যন্ত বার্সার সাবেক এই ‘নম্বর টেন’–এর লকার কিংবা জার্সি কেউ নেননি।