বার্সেলোনার দুঃখ বুঝছে ফ্রান্স

হাঙ্গেরি ম্যাচে চোট পেয়েছেন দেম্বেলে।ছবি: রয়টার্স

২০১৭ সালে সে সময়কার ক্লাব রেকর্ড গড়ে ওসমান দেম্বেলেকে টেনে নিয়েছিল বার্সেলোনা। নেইমারের শূন্যতা পূরণে কাতালানরা যে এতটাই উদ্‌গ্রীব ছিল বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের সঙ্গে কোনো রকম দরদামেই যেতে পারেনি তারা। এককালীন ১০ কোটি ৫০ লাখ ইউরোর সঙ্গে শর্ত সাপেক্ষে আরও ৪ কোটি ইউরো দিতে রাজি হয়েছিল বার্সেলোনা।

বার্সেলোনার এই বিনিয়োগ সফল হয়নি। গত চার বছরে এই উইঙ্গারকে অর্ধেক ম্যাচেই পায়নি বার্সেলোনা। মহাগুরুত্বপূর্ণ সময়ে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে যাওয়া অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছেন গতিশীল এই ফুটবলার। তবে ফ্রান্সের হয়ে সে তুলনায় তাঁকে ভালোই দেখা যায়। কিন্তু এবার বার্সেলোনার দুঃখটা টের পেল ফ্রান্স। ইউরোর মহাগুরুত্বপূর্ণ সময়টা শুরু হতেই চোটে পড়েছেন দেম্বেলে। চোটের কারণে টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে গেছেন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড।

দেশমের চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছেন দেম্বেলে।
ছবি: রয়টার্স

হাঙ্গেরির সঙ্গে দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘটেছে এই অঘটন। সেদিন পিছিয়ে পড়া ফ্রান্সের আক্রমণে গতি বাড়াতে দেম্বেলেকে নামানো হয়েছিল ৫৭ মিনিট। একপ্রান্তে কিলিয়ান এমবাপ্পে ও অন্য প্রান্তে দেম্বেলের উপস্থিতি হাঙ্গেরিকে বিপদে ফেলে দিয়েছিল। দেম্বেলের উপস্থিতিতেই সমতায় ফেরে ফ্রান্স। কিন্তু ম্যাচের শেষ দিকে ঘটে অঘটন। পেশিতে টান অনুভব করায় ৮৭ মিনিটে মাঠ ছাড়েন দেম্বেলে।

হাঙ্গেরির বিপক্ষে উজ্জ্বল ছিলেন দেম্বেলে।
ছবি: রয়টার্স

ম্যাচ শেষে দিদিয়ের দেশম বলেছিলেন, দেম্বেলে হাঁটুতে হালকা ব্যথা পেয়েছেন। কিন্তু পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর চোটটা গুরুতর বলেই প্রমাণিত হয়েছে। ঊরুতেও চোট পেয়েছেন দেম্বেলে। ফলে অন্তত এক থেকে দুই মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাঁকে। ১১ জুলাই যে টুর্নামেন্টের ফাইনাল, সে টুর্নামেন্টে তাঁকে আর তাই দেখার সুযোগ নেই।

চোট কেড়ে নিয়েছে গিলমোরকে।
ছবি: রয়টার্স

দেম্বেলের মতো দীর্ঘমেয়াদি কোনো চোটে পড়েননি, কিন্তু বিলি গিলমোরেরও সম্ভব এবারের ইউরো শেষ হয়ে গেল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গত ম্যাচেই ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা স্কটিশ মিডফিল্ডারের করোনা ধরা পড়েছে। তাঁকে ১০ দিনের জন্য আইসোলেশনে থাকতে হবে। ফলে গ্রুপের শেষ ম্যাচে তাঁকে পাবে না স্কটল্যান্ড। শেষ ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে খেলতে হবে তাদের। এই ম্যাচ জিতে যদি শেষ ষোলোতে জায়গাও করে নেয় স্কটল্যান্ড, তবু গিলমোরকে পাওয়া যাবে না সেখানে। একমাত্র কোয়ার্টার ফাইনালেই তাঁকে পেতে পারে স্কটল্যান্ড।

বিশ্বকাপ বা ইউরোর ইতিহাসে কখনোই গ্রুপ পর্ব পেরোতে না পারা স্কটিশরা আগের ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় ছাড়া এত বড় দুটি পরীক্ষা পার করবে, এতটা আশা হয়তো দলের কোচ স্টিভ ক্লার্কও করছেন না।