ব্যালন ডি’অর প্রধানকে ‘মিথ্যাবাদী’ বললেন রোনালদো
সপ্তম ব্যালন ডি’অর জিতে নিয়েছেন লিওনেল মেসি। চির প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর চেয়ে দুটি ব্যালন ডি’অর এখন বেশি তাঁর। দুজনের মধ্যে এ নিয়ে কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা, সেটি কতটা প্রকাশ্য, কতটা গণমাধ্যমের সৃষ্টি—এ বিতর্কের মধ্যেই মেসির সপ্তম ব্যালন ডি’অর পাওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে বেজায় চটেছেন রোনালদো। আর সেটি ব্যালন ডি’অর প্রদানকারী সাময়িকী ফ্রান্স ফুটবলের সম্পাদকের ওপরই।
নাহ্! ব্যালন ডি’অর কেন তিনি পেলেন না, রোনালদোর ক্ষোভের কারণ সেটি নয়। পর্তুগিজ তারকা চটেছেন কারণ তাঁর কাছে মনে হয়েছে ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকীর প্রধান প্যাসকেল ফেরে তাঁর নাম জড়িয়ে মিথ্যাচার করে নিজের ব্যবসা বাড়াচ্ছেন।
ফেরে কিছুদিন আগে নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকাকে বলেছিলেন, ‘রোনালদোর এখন একমাত্র লক্ষ্য অবসরে যাওয়ার আগে মেসির চেয়ে বেশি ব্যালন ডি’অর পাওয়া। এটা আমি জানি, কারণ, রোনালদো নিজেই আমাকে তা বলেছে।’ রোনালদো ফেরের এ মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
নিজের ইনস্টাগ্রামে রোনালদো ফেরের এ মন্তব্যকে ‘মিথ্যাচার’ বলেছেন, ‘গত সপ্তাহে ফেরে বলেছেন আমি মেসির চেয়ে বেশি ব্যালন ডি’অর জিতে ক্যারিয়ার শেষ করতে চাই। ফেরে মিথ্যা বলেছেন। আমার নাম ব্যবহার করে তিনি ফায়দা লুটছেন। নিজের ও তাঁর সাময়িকীর ব্যবসা বাড়াতে চাচ্ছেন। এটা খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত যে ব্যালন ডি’অরের মতো মর্যাদাপূর্ণ একটি পুরস্কারের সঙ্গে জড়িত একজন এ মিথ্যাচার করছেন।’
মেসি কাল ব্যালন ডি’অর জেতার আগেই রোনালদো ইনস্টাগ্রামে এ বার্তা দিয়েছিলেন। তবে তিনি নিজে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে যাননি। ফেরে তাঁর অনুষ্ঠানে না যাওয়া নিয়ে যা বলেছেন, সেটা নিয়েও নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোনালদো, ‘আমি সব সময়ই ব্যালন ডি’অর জয়ীকে অভিনন্দিত করতে চাই। এটা ক্রীড়াসুলভ মানসিকতারই অংশ। এটি আমি আমার ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই মেনে আসছি। আমি কখনোই কারোর বিপক্ষে নই। আমি যা জিততে চাই, সেটি সব সময়ই নিজের জন্য এবং যে ক্লাবের হয়ে খেলি, তাদের জন্যই জিততে চাই। যারা আমাকে ভালোবাসে, আমি যেকোনো পুরস্কার তাদের জন্যই জিততে চাই। আমি কাউকে দেখিয়ে দিতে বা কারোর বিরুদ্ধে জিতি না।’
ব্যক্তিগত অর্জনের জন্য তিনি খেলেন না, এমনটাই দাবি রোনালদোর, ‘আমি কখনোই ব্যক্তিগত অর্জনের জন্য খেলি না। আমার চিরদিনের লক্ষ্য ক্লাব ও জাতীয় দলের জন্য শিরোপা জেতা। আমার সব সময়ের লক্ষ্য নিজেকে একটি উদাহরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠার, যারা পেশাদার ফুটবলার হতে চায়, তাদের সামনে আমি উদাহরণ হতে চাই। আমার লক্ষ্য, ফুটবল ইতিহাসে সোনার হরফে নিজের নাম খোদাই করে রাখা।’