মা হারিয়েছেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার রোনালদিনিও। পোর্তো অ্যালেগ্রের মায় দে দিউস হাসপাতালে আড়াই মাস ধরে লড়ে পরশু অন্যালোকে পাড়ি জমান মিগুয়েলিনা এলোই আসিস দস সান্তোস।
২০০২ বিশ্বকাপজয়ী এ তারকার শোকের সময়ে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি।
ফ্রাঙ্ক রাইকার্ড কোচ থাকতে বার্সায় রোনালদিনিও–র সঙ্গে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন মেসি। ইনস্টাগ্রামে ব্রাজিলের সাবেক ফুটবলারের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছেন মেসি, ‘রোনি, আমি ভাষাহীন। বিশ্বাসই হচ্ছে না। এই শোক সহ্য করার শক্তি হিসেবে পাশে আছি, পরিবারের প্রতি সমবদেনা। তোমার এই ক্ষতিতে খারাপ লাগছে। তিনি শান্তিতে ঘুমোন।’
করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন রোনালদিনিও–র মা। খবরটি নিশ্চিত করেছে ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম। গত ডিসেম্বর থেকেই হাসপাতালে ছিলেন বার্সার সাবেক এ মিডফিল্ডারের মা।
বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি ব্রাজিল। তবে এ মহামারি নিয়ে ব্রাজিলের খুব বেশি হেলদোল আছে বলে মনে হচ্ছে না। দেশটির প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। এমন অব্যবস্থাপনার বলি হচ্ছে দেশটির মানুষ।
বড়দিনের আগে রোনালদিনিও নিজেই মায়ের অসুস্থতার কথা জানিয়েছিলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘প্রিয় বন্ধুরা, আমার মা কোভিড-১৯ আক্রান্ত এবং তাঁর সুস্থতার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে আছেন তিনি, সম্ভাব্য সেরা সেবা পাচ্ছেন।’
রোনালদিনিও–র সাবেক দুই ক্লাব পিএসজি এবং অ্যাথলেটিক মিনেইরো–ও তাঁর মায়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে। মিনেইরোর টুইট, ‘রোনালদিনিও–র মা ডোনা মিগুয়েলিনার মৃত্যুতে গভীর শোক জানাচ্ছে অ্যাথলেটিকো মিনেইরো। সৃষ্টিকর্তা তাঁকে গ্রহণ করে চিরকালীন শান্তিতে রাখুন।’
টুইটারে পিএসজির শোকবার্তা, ‘রোনালদিনিও এবং তার ভাই রবের্তোর মায়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছে পিএসজি। সহমর্মিতা নিয়ে সব রকম সমর্থন দিচ্ছি আমরা।’
২০১৮ সালে অবসর নেওয়া রোনালদিনিও–র গত এক বছর বেশ বাজে কাটছে। দাতব্য কাজে প্যারাগুয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ব্রাজিল ছাড়ার অনুমতি না থাকায় জাল পাসপোর্ট ব্যবহার করা হয়েছিল।
গত বছর প্যারাগুয়ে যাওয়ার এক দিন পর জাল পাসপোর্ট বহন করার দায়ে পুলিশ আটক করেছিল রোনালদিনিওকে। জেল খাটতেও হয়েছিল।