স্বপ্নের মতো এক বছর কাটছে ক্রিস্টিয়ান রোমেরোর।
গত মৌসুমে আতালান্তার হয়ে দুর্দান্ত খেলে ইতালিয়ান লিগের সেরা ডিফেন্ডার হয়েছিলেন। মৌসুম শেষ করে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে এসেই আর্জেন্টিনার ট্রফিখরা ঘুচিয়েছেন, ২৮ বছর পর আর্জেন্টিনার কোপা আমেরিকা আমেরিকা জয়ের পেছনে রোমেরোর অবদান ছিল অনেক। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সে অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে না করতেই আরেক সুসংবাদ। প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি ইউরোর বিনিময়ে নাম লিখিয়েছেন টটেনহামে। ইংলিশ লিগে পড়তে যাচ্ছে রোমেরোর পায়ের ছাপ।
তবে, একটু এদিক-ওদিক হলে টটেনহাম নয়, বরং ঐতিহ্য ও সাফল্যের দিক দিয়ে আরও অনেক বড় ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে নাম লেখাতে পারতেন এই সেন্টারব্যাক। বার্সেলোনার আর্থিক দীনতা যা হতে দেয়নি।
টাকা না থাকলেও, রোমেরোর প্রতি বার্সেলোনার আগ্রহ যে ছিলই, সেটা নিজেই জানিয়েছেন ২৩ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার। রেডিও এএম ৫৫০ কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজেই এই কথা জানিয়েছেন রোমেরো, সঙ্গে বাড়িয়েছেন বিশ্বব্যাপী হাজারো বার্সা সমর্থকদের মনের ব্যথা।
জাতীয় দলে রোমেরোর সঙ্গে খেলে লিওনেল মেসি এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে, নিজের ক্লাব বার্সেলোনাতেও রোমেরোকে আনার জন্য আবদার করেছিলেন মেসি। রোমেরো নিজেও ব্যাপারটা বুঝতে পেরে বেশ খুশি হয়েছিলেন, ‘সত্যি বলতে কি, মেসি আমাকে তাঁর দলে চাইবে, চাইবে আমি যেন বার্সেলোনায় আসি, ব্যাপারটাই অসাধারণ।’
কিন্তু মেসি চাইলেই কি আর হয়? রোমেরোকে কেনার আর্থিক সামর্থ্যও তো থাকা লাগবে বার্সেলোনার! যে আর্থিক সংকটে পড়ে রোমেরোকে কেনা দূরে থাকুক, উল্টো মেসিকেই ছেড়ে দিতে হয়েছে দলটার।
মেসির বার্সা ছাড়া দেখে আর দশটা মানুষের মতো রোমেরোও হতাশ হয়েছিলেন, ‘পিএসজি যে দলটা বানিয়েছে সেটা দুর্দান্ত। তবে আমার মন একটু খারাপ, মেসির বার্সা ছাড়া নিয়ে। কারণ আমি ভেবেছিলাম মেসি আজীবন বার্সাতেই থাকবে।’
কিন্তু পেশাদার ফুটবলে আবেগের জায়গা নেই, রোমেরো নিজেও বোঝেন সেটা। বোঝেন বলেই কষ্ট ভুলে শুভকামনা জানিয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়কের প্রতি, ‘আমার শুভকামনা ওর প্রতি। ও অসাধারণ একজন মানুষ। আশা করব অন্যান্য আর্জেন্টাইনদের সঙ্গে ও সেখানে অনেক কিছু যেন জেতে।’