মোহামেডানেই আছেন নঈমুদ্দিন

মোহামেডান ছাড়েনি নঈমুদ্দিনকে। ছবি: প্রথম আলো
মোহামেডান ছাড়েনি নঈমুদ্দিনকে। ছবি: প্রথম আলো

এবারের প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচেই হেরেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। একদিকে লিগে এখনো পয়েন্টের খাতা না খোলা, অন্যদিকে দ্বিতীয় ম্যাচে ডাগ আউটে কোচ সৈয়দ নঈমুদ্দিনের অনুপস্থিত থাকা—সমর্থকদের মধ্যে গুঞ্জন, ভারতীয় কোচকে কী তবে বিদায় দিয়ে দিয়েছে মোহামেডান? ক্লাব পাড়ায় তো এটা নিয়ে নানা কানাঘুষা।
গুঞ্জনটির সত্যতা নেই। নঈমুদ্দিন মোহামেডানেই আছেন। চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে মাঠে না থাকার কারণ অন্য। ব্যক্তিগত প্রয়োজনে এই মুহূর্তে কলকাতায় আছেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নঈমুদ্দিন নিজেই। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘আসলে আমি একটি পারিবারিক প্রয়োজন মেটাতে ঢাকা ছেড়েছি। মোহামেডানের কোচ আছিই। খুব শিগগিরই ঢাকা ফিরব।’
শেখ জামালের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরে লিগ শুরু করা মোহামেডান দ্বিতীয় ম্যাচেও চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছে হেরেছে ১-০ গোলে। প্রথম ম্যাচে মাঠে ছিলেন। কলকাতায় বসেই শুনেছেন চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছে হারের কথা। টানা দুই ম্যাচে দলের হারে হতাশ হলেও হতোদ্যম হতে রাজি নন উপমহাদেশের অন্যতম সেরা এই কোচ, ‘দলের খারাপ সময় তো যেতেই পারে। আমরা ঘুরে দাঁড়াব।’
ফেডারেশন কাপে ব্যর্থতার কারণে গুটিকয়েক সমর্থকের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছিলেন নঈমুদ্দিন। সে প্রসঙ্গ তুলতেই জানালেন, ব্যাপারটা মিটে গেছে, ‘আমার কাছে ওরা ক্ষমা চেয়েছে। মোহামেডান ক্লাবের সবাই আমাকে খুব সম্মান করে। চুক্তিটা খুবই আকর্ষণীয়। আমি সন্তুষ্ট মোহামেডানের কোচ হিসেবে কাজ করতে পেরে।’
২০০৭ সালের দিকে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ ছিলেন নঈমুদ্দিন। এরপর বেশ কয়েকবার ব্রাদার্স ইউনিয়নের কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। উপমহাদেশের অন্যতম সম্মানিত এই কোচ ভারতকে একাধিকবার জিতিয়েছেন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা।