যেভাবে মেসিকে আটকাতে চান প্যারাগুয়ের কোচ

উরুগুয়ের বিপক্ষে গোটা ম্যাচেই মেসি ছিলেন দুর্দান্তছবি : রয়টার্স

প্রায় অর্ধযুগ কাটিয়েছেন লা লিগায়। কখনো সেল্তা ভিগো, কখনো সেভিয়া কিংবা কখনো অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের কোচ হিসেবে। এই সময়ে বার্সেলোনার মেসিকে বেশ কাছে থেকেই দেখার অভিজ্ঞতা হয়েছে এদুয়ার্দো বেরিজ্জোর। মেসিকে আটকানোর ছক কষেছেন অনেক। সেই অভিজ্ঞতাই আবারও কাজে লাগতে পারে ৫১ বছর বয়সী এই আর্জেন্টাইন এই কোচের। তাঁর প্যারাগুয়ের বিপক্ষে কোপা আমেরিকার ম্যাচ খেলতে নামছেন মেসিরা, আগামীকাল ভোরে।

আর্জেন্টিনার যেকোনো ম্যাচের আগে যা হয়, এখানেও সেটিই হচ্ছে। প্রতিপক্ষ কোচের চিন্তার একটা বড় অংশজুড়ে আছেন লিওনেল মেসি। মেসিকে কীভাবে আটকানো যাবে, মেসি নামের জাদুকরকে কীভাবে নিষ্প্রভ রাখা যায়, সেটি নিয়েই মাথা ঘামাতে হয় তাঁদের।

এদুয়ার্দো বেরিজ্জো
ছবি : রয়টার্স

প্রথম ম্যাচে এ নিয়ে চিন্তায় ছিলেন চিলির কোচ মার্তিন লাসার্ত, দ্বিতীয় ম্যাচে উরুগুয়ের অস্কার তাবারেজ। এখন বেরিজ্জা। তবে তিনি আশাবাদী নিজের অভিজ্ঞতা দিয়েই মেসিকে আটকাতে পারবেন এই কোচ।

আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগ নিয়ে অনেক সমালোচনা হলেও বেরিজ্জো ভাবছেন নিজেদের নিয়েই। রক্ষণভাগকে হালকাভাবে দেখছেন না তিনি, ‘আর্জেন্টিনা অনেক ভালো একটা দল। ওদের বিপক্ষে আমাদের নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করতে হবে। ওদের রক্ষণভাগ বেশ ভালোই প্রেস কাটিয়ে বল সামনের দিকে পাঠাতে পারে। কিন্তু প্রতিপক্ষের ওপর প্রেস করা আমাদের খেলার অন্যতম প্রধান উপাদান। প্রেস করে তাড়াতাড়ি বল উদ্ধার করে সামনে পাঠানো আমাদের আক্রমণের অন্যতম কৌশল। আগামীকাল আমরা এটা করার চেষ্টা করব। চাইব না বল যেন সহজেই প্রতিপক্ষের পায়ে চলে যায়। আর্জেন্টিনা বেশ কঠিন প্রতিপক্ষ, যাদের বিপক্ষে আমরা আগের কোপা ও বাছাইপর্বে মুখোমুখি হয়েছি।’

কোপায় অধিনায়কসুলভ পারফরম্যান্সই দেখাচ্ছেন মেসি
ফাইল ছবি : রয়টার্স

বেরিজ্জো খুব ভালো করেই জানেন, একজন দিয়ে মেসিকে আটকে রাখার পরিকল্পনা করা বৃথা, ‘মেসিকে ব্যাখ্যা করা কঠিন। ওকে একজন দিয়ে মার্ক করাতে গেলে ও মার্কারকে সহজেই কাটিয়ে চলে যেতে পারে। খুবই ভয়ংকরভাবে দ্রুতগতিতে বল নিয়ে এগোতে থাকে।’

মেসিকে আটকাতে গেলে সবার আগে নিজেদের রক্ষণভাগ ও মাঝমাঠের আকৃতি ঠিকঠাক বজায় রাখতে হবে, ‘বল কখন কীভাবে ব্যবহার করতে হবে, এটা নিশ্চিত করতে হবে আমাদের। আমরা চেষ্টা করব বলের দখল যেন আমাদের কাছে থাকে। মেসি যখন ওর মার্কারকে কাটিয়ে যাবে তখন আমাদের নিশ্চিত করতে হবে আমাদের মিডফিল্ডের খেলোয়াড়েরা যেন ঠিক ঠিক পজিশনে থাকে, গোটা রক্ষণভাগের আকৃতি যেন বদলে না যায়।

আমি এমন কিছুই বলছি না যা অন্য কেউ জানে না। যেহেতু ওকে একজন দিয়ে আটকানো যায় না, তাই নিশ্চিত করতে হবে ওর পায়ে যেন বল না যায়। আর এটা করা সম্ভব যখন একাধিক খেলোয়াড় ওর দিকে মনোযোগ দেয়। ওকে আটকাতে রক্ষণভাগের মনোযোগ অসাধারণ হতে হবে।’

দেখা যাক, বেরিজ্জোর এই পরিকল্পনা কাজে দেয় কি না!