ইউক্রেনে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। গতকাল অবশেষে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার পথে হেঁটেছেন বিশ্বনেতারা। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন তাদের আকাশসীমায় রাশিয়ার নামটাই দেখতে চাইছে না। এরই মধ্যে ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করার ঘোষণা দিয়েছে ইইউ। ইউরোপের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কচ্যুতি ফুটবলেও ঘটতে যাচ্ছে। ইউরোপা লিগের শেষ ষোলো থেকে স্পার্তাক মস্কোকে বাদ দিতে যাচ্ছে উয়েফা।

এমনই এক খবর জানিয়েছে বিল্ড। এখনই আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি। তবু জার্মান পত্রিকার এ খবরকে সত্য ধরে নিতে চাইছেন সবাই। কারণ, শেষ ষোলোতে রাশিয়ার ক্লাবের প্রতিপক্ষ জার্মান ক্লাব লাইপজিগ। জার্মান ফুটবলের যেকোনো খবরের ক্ষেত্রে বিল্ড বেশ বিশ্বস্ত সূত্র।

ইউক্রেনে হামলার জের এমনিতেই টানতে শুরু করেছে রাশিয়ার ফুটবল। এরই মধ্যে এ বছর চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল মস্কো থেকে সরিয়ে প্যারিসে নেওয়া হয়েছে। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্লে-অফ খেলতে পারবে না রাশিয়া। এমনকি রাশিয়া নাম ও দেশের পতাকাও ব্যবহার করা যাবে না, জানিয়ে দিয়েছে ফিফা। যদিও তাদের প্রতিপক্ষ পোল্যান্ড এতেই সন্তুষ্ট নয়। তারা বলে দিয়েছে, নাম বদলালেও রাশিয়ার সঙ্গে খেলবে না তারা।

যুদ্ধের কারণে লাইপজিগের বিপক্ষে ঘরের মাঠে খেলতে পারবে না স্পার্তাক, এমনটাই জানানো হয়েছিল। কিন্তু বিল্ড জানাচ্ছে, স্পার্তাককে পরের মাঠেও খেলতে হবে না। লাইপজিগের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা নাকি নিশ্চিত। কারণ, নিজেদের ক্যালেন্ডার থেকে এই ম্যাচের সূচি নাকি ফেলে দিচ্ছে।

এদিকে লাইপজিগও কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার প্রস্তুতি নিয়ে নিচ্ছে। ক্লাবের প্রধান অলিভার মিনৎসলাফ বলেছেন, ‘আমরা সংস্থার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। আমাদের উয়েফা ও তাদের সিদ্ধান্তের ওপর পূর্ণ আস্থা আছে। আমরা ধরে নিয়েছি, এই ম্যাচ বাতিল হবে।’

এর আগে সপ্তাহান্তে জার্মান ক্লাব জানিয়েছিল, ‘ইউরোপা লিগের শেষ ষোলোতে স্পার্তাক লাইপজিগের বিপক্ষে ম্যাচটা কীভাবে হবে, তা নিয়ে লাইপজিগ উয়েফার সঙ্গে নিবিড়ভাবে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। আশা করছি, সংস্থা নিকট ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।’

আগের সূচি অনুযায়ী ১০ ও ১৭ মার্চ দুই লেগ হওয়ার কথা ছিল। নিজেদের গ্রুপে শীর্ষে থাকায় স্পার্তাক নিজেদের মাঠে দ্বিতীয় লেগ খেলার কথা ছিল। ১৭ মার্চের সে ম্যাচ পরবর্তী সময়ে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে নেওয়ার আলোচনা হচ্ছিল।

চ্যাম্পিয়নস লিগ, ইউরোপা লিগ ও কনফারেন্স লিগ—উয়েফার তিনটি মহাদেশীয় প্রতিযোগিতার শেষ ষোলো পর্যায়ের ৪৮ দলের মধ্যে রাশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করে টিকে ছিল শুধু স্পার্তাক মস্কো। কিন্তু উয়েফা যদি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে, সে ক্ষেত্রে স্পার্তাকের বিদায়ে এ মৌসুমে ইউরোপিয়ান ফুটবল রাশিয়াবিহীন হয়ে পড়ছে।