রাশিয়ার বিপক্ষে লুকাকুর প্রথম গোলটি কেন ‘অফসাইড’ ছিল না
ইউরোর শিরোপা জয়ে চোখ বেলজিয়ামের। তাদের এ স্বপ্ন পূরণে সবচেয়ে বড় ভরসা রোমেলু লুকাকু। রাশিয়ার বিপক্ষে কাল শিরোপা জয়ের অভিযান শুরুর ম্যাচে ইন্টার মিলানের স্ট্রাইকার দেখিয়েও দিয়েছেন যে বেলজিয়ামের ফুটবল–সমর্থকদের স্বপ্নের ভার বয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো চওড়া কাঁধ তাঁর আছে। ম্যাচের ১০ মিনিটেই স্কোরশিটে নাম লেখান লুকাকু। তবে সেই গোল নিয়ে আবার তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কারও কারও দাবি গোলটি করার সময়ে অফসাইডে ছিলেন বেলজিয়ামের অন্যতম বড় তারকা।
লাইন্সম্যান অফসাউডের পতাকা তোলেননি, ম্যাচের রেফারিও অফসাইডের বাঁশি বাজাননি। তবে লুকাকু বল রাশিয়ার জালে পাঠানোর পর ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) সাহায্য নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভিএআরও অফসাইড না দিয়ে গোল বহাল রাখে। বাস্তবতা হচ্ছে খালি চোখেও দেখা যাচ্ছিল লুকাকু অফসাইডে ছিলেন। তাহলে ভিএআর কেন এটিকে অফসাইড দিল না—এ নিয়ে ফুটবল মহলে চলছে আলোচনা।
দ্রিস মের্টেনসের একটি ক্রসের জন্য রাশিয়ার বক্সে অপেক্ষা করছিলেন লুকাকু। তাঁর সামনেই ছিলেন রাশিয়ার ডিফেন্ডার আন্দ্রেই সেমেনভ। তিনি বলটি বিপদমুক্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। বল সেমেনভের পায়ে লেগে একটু দূরে ছিটকে যায়। দৌড়ে গিয়ে সেখান থেকে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ঠান্ডা মাথার শটে জালে পাঠান লুকাকু। টিভি রিপ্লেতে দেখা গেছে মের্টেনস যখন ক্রসটি বাড়ান, অফসাইড পজিশনে ছিলেন ইন্টার মিলানের স্ট্রাইকার।
তবে তাঁর কাছে বল যাওয়ার সেমেনভের ওই পায়ের ছোঁয়াটাই বদলে দিয়েছে পরিস্থিতি। নিয়ম অনুযায়ী যে দলের বিপক্ষে আক্রমণ হচ্ছে সেই দলের ডিফেন্ডার বা কোনো খেলোয়াড় যদি বলটি খেলেন (তা বল নিজের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য বা বিপদমুক্ত করার জন্যই হোক), তাহলে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড় আর অফসাইড হবেন না! লুকাকুর গোলের ক্ষেত্রে ঠিক এটাই হয়েছে।
লুকাকু পরে গোল করেছেন আরও একটি। তাঁর জোড়া গোলের সঙ্গে টমাস মুনিয়ের গোল মিলিয়ে রাশিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে বেলজিয়াম। বিতর্কের জন্ম দেওয়া প্রথম গোলটি লুকাকু উৎসর্গ করেছেন কাল রাতে ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে যাওয়া বন্ধু ও ইন্টার মিলানের সতীর্থ ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনকে।