২০০৮ সালের পর রিয়াজোরে লিগের শুরুর ম্যাচে হারেনি রিয়াল মাদ্রিদ। নিষেধাজ্ঞার কারণে দলের সেরা খেলোয়াড় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো না থাকলেও ব্যতিক্রম হয়নি পরশু। গ্যারেথ বেল, কাসেমিরো ও টনি ক্রুস গোল করেছেন। প্রত্যাশিতভাবেই দেপোর্তিভো লা করুনিয়ার মাঠ থেকে ৩-০ গোলে জিতে ফিরেছে জিনেদিন জিদানের দল।
ম্যাচ শেষে আলোচনা অবশ্য একটি গোল নিয়ে। সেটি ২৭ মিনিটে কাসেমিরোর করা দলের দ্বিতীয় গোল। আলোচনা হবে নাই-বা কেন! গোলটি যে এসেছে ৪৪ পাস শেষে। আর এর সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন রিয়ালের ১১ জন খেলোয়াড়ের সবাই। ২০০৬-০৭ মৌসুমের পর ৪৪ পাসের গোল এই প্রথম দেখেছে স্প্যানিশ লিগ। ক্রীড়া তথ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান অপ্টা গোলটি নিয়ে টুইট করেছে, ‘টিকি-টাকা!’
ছোট ছোট পাসে বলের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখে খেলার ধরনটি স্পেনে প্রথম এনেছিলেন ডাচ কিংবদন্তি ইয়োহান ক্রুইফ। টিকি-টাকা নামের সেই ধরনটি বার্সায় সার্থক প্রয়োগ ঘটিয়েছিলেন গার্দিওলা। চার বছর আগে গার্দিওলার বিদায়ের সঙ্গে টিকি-টাকাও যেন বার্সা থেকে বিদায় নিয়েছে! কিন্তু কাল টিকি-টাকার অনুপম এক প্রদর্শনী উপহার দিল কারা? জিদানের রিয়াল। যাদের সঙ্গে টিকি-টাকা যায় না বলেই এত দিন সবাই মেনে এসেছে!
১০৭ সেকেন্ডের পাসিংয়ে গোলরক্ষক কেইলর নাভাস থেকে প্রথম বল পেয়েছিলেন কাসেমিরো। এরপর পাসে পাসে মাঠজুড়ে আলপনা এঁকেছেন বাকিরা। শেষে এসে ডান প্রান্ত থেকে ইসকোর লম্বা পাস বুক দিয়ে নামিয়ে ক্রস করেছেন মার্সেলো। পায়ের আলতো ছোঁয়ায় সেটি জালে জড়িয়ে আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন কাসেমিরো।
এমন একটি গোলের পর ম্যাচের বাকি সব আড়াল হয়ে যাওয়ার কথা। জিদানও বলেছেন সেটাই, ‘যখন এভাবে একটি গোল হয়, সবাই খুশি না হয়ে পারে না। দ্বিতীয় গোলটি তা-ই ছিল, যা নিয়ে আমরা কাজ করি। এটাই আমরা করতে চাই।’ ইএসপিএন।