একটা সইয়ের জন্য ইউরোপের বড় বড় ক্লাব ঘুরছে আর্লিং হরলান্ডের পেছনে। রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, ম্যানচেস্টার সিটি থেকে চেলসির মতো ক্লাবগুলো তাঁকে কিনতে চায়। কিন্তু তাদের আগেই হরলান্ডের সই জোগাড় করে ফেললেন রোমানিয়ার এক সহকারী রেফারি।
ডর্টমুন্ডের এই নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার এখন বিশ্ব ফুটবলের ‘হটকেক’। গত সপ্তাহের শেষে হরলান্ডের মুখপাত্র মিনো রাইওলা ও বাবা আলফ হরলান্ড ইউরোপ সফরে বেরিয়েছেন। প্রথমে স্পেনে গিয়ে বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের হর্তাকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন। এরপর ইংল্যান্ড সফরে যাওয়ার কথা এই দুজনের।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, সিটি, লিভারপুল ও চেলসির সামনেও মুলা ঝোলানোর কাজটা করতে চান রাইওলা। বোঝাই যাচ্ছে, এই করোনা মহামারির মধ্যেও হরলান্ড দলবদলের বাজারে দামের রেকর্ড গড়লে, তা অস্বাভাবিক কিছু হবে না।
চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনাল প্রথম লেগে কাল রাতে হরলান্ডের দল ডর্টমুন্ডেরই মুখোমুখি হয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। ইংলিশ ক্লাবটি ২-১ গোলে জয়ের সঙ্গে প্রতিপক্ষ দলের যাঁকে সই করাতে উদ্গ্রীব, সেই হরলান্ডের বিপক্ষে খেলার স্বাদও পেয়েছে।
গোল না পেলেও জার্মান উইঙ্গার মার্কো রয়েসের গোলে সহায়তা করেন হরলান্ড। ম্যাচ শেষে টিভি ফুটেজে দেখা যায় মজার দৃশ্যটি। মাঠে যে কার্ড দেখার ভয়ে ফুটবলাররা মেনে চলেন রেফারিদের, সেই কার্ডেই কিনা সই করতে হলো ডর্টমুন্ড তারকাকে।
ম্যাচ শেষে ডর্টমুন্ডের খেলোয়াড়েরা মাঠ ছেড়ে ইতিহাদের টানেলে ঢুকে পড়েছিলেন। রোমানিয়ান সেই সহকারী রেফারি হরলান্ডকে অনুসরণ করে টানেলে ঢুকে পড়েন। টিভি ফুটেজে দেখা যায়, হলুদ কার্ড বের করে তিনি সেখানে হরলান্ডের অটোগ্রাফ চান। ডর্টমুন্ড স্ট্রাইকার তাঁকে হতাশ করেননি।
তবে ম্যাচ শেষে অফিশিয়ালরা খেলোয়াড়ের অটোগ্রাফ নিতে পারেন, তা উয়েফার আইনে অনুমোদিত নয়। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি (উয়েফা) সেই সহকারী রেফারিকে শাস্তি দিলেও দিতে পারে।
তবে সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা জানিয়েছেন, তিনি কোনো সমস্যা দেখছেন না, ‘আমি ঘটনাটা জেনেছি। সে তো ভক্ত হতেই পারে। এতে অসুবিধার কী আছে? রেফারিরা দারুণ করেছেন। ম্যাচটাও ভালো ছিল।’
তবে সেই সহকারী রেফারি হরলান্ডের অটোগ্রাফ নেওয়ার সময় টিভি পণ্ডিত ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক খেলোয়াড় ওয়েন হারগ্রেভস বিটি স্পোর্টকে বলছিলেন, ‘এটা করা ঠিক হয়নি। এটা আইনসিদ্ধও নয়।’
সিটির হয়ে লিগজয়ী ডিফেন্ডার জোলেন লেসকটও বলেন, ‘এই কাজটা করার জন্য এখন সঠিক সময় নয়। অফিশিয়ালদের এমন শিশুসুলভ কাজ করা ঠিক হয়নি।’