রোনালদোর দলবদল নিয়েও তদন্ত হচ্ছে
জুভেন্টাসের আর্থিক বিষয় ও দলবদল নিয়ে তদন্ত চলছে। গত ২৬ নভেম্বর জুভেন্টাসের কার্যালয়ে গিয়েছিল পুলিশ। আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় এ অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে দলবদলের অঙ্ক নিয়ে অনিয়ম করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, নতুন করে আবার সার্চ ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে। ২৬ তারিখ হওয়া অভিযানের অংশ হিসেবেই নতুন এই আদেশ এসেছে। সে তদন্তে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দলবদলও পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এ মৌসুমেই জুভেন্টাস ছেড়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ফিরেছেন রোনালদো। নিজের ঘরে ফিরে ভালোই করছেন। গতকাল আর্সেনালের বিপক্ষে জোড়া গোলের পর ১৬ ম্যাচে ১২ গোল হয়ে গেছে তাঁর। স্বপ্নের এই প্রত্যাবর্তনের জন্য ইউনাইটেডকে ১ কোটি ৫০ লাখ ইউরো খরচ করতে হয়েছে গত আগস্টে। সেই সঙ্গে সহজ কিছু শর্ত সাপেক্ষে নাকি আরও ৮০ লাখ ইউরো পাবে জুভেন্টাস। অন্তত এমন তথ্যই দলবদলের সময় বলা হয়েছিল সবাইকে।
ইতালির আর্থিক পুলিশ অবশ্য এই দলবদলের অঙ্কটা নিয়ে তদন্তে নেমেছে। তাদের ধারণা, ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে হওয়া অনেক দলবদলেই ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রোনালদোর এই দলবদলও আছে, এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে। যদিও ক্লাব কর্তৃপক্ষ গতকাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সব আইন মেনেই সবকিছু করা হয়েছে এবং কর্তৃপক্ষকে সব ব্যাপারে সাহায্য করছে তারা।
করোনার কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত জুভেন্টাস তহবিল সংগ্রহে নেমেছে। শেয়ার বিক্রি করে ৪০ কোটি ইউরো জোগাড় করে দেনা পরিশোধ করতে চাইছে তারা। এ অবস্থায় শেয়ার ছাড়ার আগে সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের কাছে ক্লাবের আর্থিক অবস্থার বিবরণী প্রকাশ করতে হয়েছে জুভেন্টাসকে। আর সে কারণেই রোনালদোর দলবদলের তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জুভেন্টাস দাবি করেছে, রোনালদোকে শর্ত সাপেক্ষে ২ কোটি ৩০ লাখ ইউরোতে বিক্রি করায় ক্লাবের ১ কোটি ৪০ লাখ ইউরো ক্ষতি হয়েছে। এতে ২০২০–২১ অর্থবছরে ক্লাবের আর্থিক ক্ষতি দাঁড়িয়েছে রেকর্ড ২১ কোটি ইউরো।
রোনালদোর দলবদলের ঠিক কোন অংশ নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে, তা খোলাসা করা হয়নি।