রীতি বজায় রাখল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সবশেষ ৯ বার বছরের শেষ ম্যাচে ইউনাইটেড হারেনি। এ বছরও এর ব্যত্যয় ঘটল না।

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর আলো ছড়ানোর রাতে বার্নলিকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে রেড ডেভিলরা। একটি গোল করেছেন রোনালদো, আবার করিয়েছেনও একটি রোনালদো। আর তাতেই আগামী মৌসুমে ইউনাইটেডের চ্যাম্পিয়নস লিগে অংশ হওয়ার স্বপ্নটা বেশ ভালোভাবেই বেঁচে থাকল।

ক্যারিয়ারে ১২১টি আলাদা ক্লাবের বিপক্ষে গোল করলেন রোনালদো
ছবি : রয়টার্স

প্রথমার্ধেই তিন গোলে এগিয়ে যায় ইউনাইটেড। গোল করার শুরুটা করেন স্কটিশ মিডফিল্ডার স্কট ম্যাকটমিনে। রোনালদোর সহায়তায় আট মিনিটেই দূরপাল্লার শটে দলকে এগিয়ে দেন এই মিডফিল্ডার। ম্যাচের ২৭ মিনিটে আবারও ইউনাইটেডের গোল। বাঁ প্রান্ত থেকে বিপজ্জনকভাবে বার্নলির ডিবক্সে ঢুকে মাপা শট নেন ইংলিশ উইঙ্গার জেডন সানচো, যা বার্নলির ডিফেন্ডার বেন মির পায়ে লেগে দিক বদলে ঢুকে যায় জালে।


৩৫ মিনিটে গোলের মঞ্চে রোনালদোর আগমন। তবে গোলটা যতটা না তাঁর, তার চেয়ে বেশি কৃতিত্ব হয়তো ম্যাকটমিনের। এই স্কটিশ মিডফিল্ডারের দূরপাল্লার শট পোস্টে লাগলে বল চলে যায় সামনে দাঁড়িয়ে থাকা রোনালদোর কাছে। সেখান থেকে পাকা শিকারির মতো গোল করে ব্যবধান ৩-০ করে দেন এই পর্তুগিজ।

এ নিয়ে ক্যারিয়ারে ১২১টি আলাদা ক্লাবের বিপক্ষে গোল করলেন রোনালদো। যেখানে অনেকে ক্যারিয়ারে ১২১ গোল পেলেই বর্তে যান, সেখানে রোনালদোর এ অনন্যসাধারণ অর্জন। এ জন্যই তো তিনি রোনালদো!


৩৮ মিনিটে ইংলিশ উইঙ্গার অ্যারন লেননের গোলটা শুধু ব্যবধানই কমিয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো গোল হয়নি, ৩-১ স্কোরলাইনেই শেষ হয়েছে ম্যাচ। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে এ নিয়ে প্রথমবারের মতো গোল পেলেন এই অভিজ্ঞ উইঙ্গার।

এ জয়ের ফলে পয়েন্ট তালিকার পঞ্চম স্থানে চলে এল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। চতুর্থ স্থানে থাকা আর্সেনালের চেয়ে চার পয়েন্ট কম তাদের। যদিও ইউনাইটেড এক ম্যাচ কম খেলেছে।


ম্যাচে এক গোল আর এক গোলে সহায়তার মাধ্যমে মৌসুমে অন্তত ১০টি গোলে অংশ নেওয়া হয়ে গেল রোনালদোর। এ মৌসুমে এ পর্যন্ত আটটি গোল করেছেন, তিনটি করিয়েছেন। এ নিয়ে ১৭ বছর ধরে দলের অন্তত ১০টি গোলে ভূমিকা রাখলেন রোনালদো। কে বলবে তিনি বুড়িয়ে গেছেন!