লেভানডফস্কি সান্ত্বনা হিসেবে পাচ্ছেন ‘লবণের বল’

কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা? এমনিতে তা মনে হতেই পারে। কিন্তু রবার্ট লেভানডফস্কির প্রতি পোলিশদের ভালোবাসাও তো বুঝতে হবে!

তাঁর ব্যালন ডি’অর জিততে না পারার ঘায়ে লবণের বল সত্যিকার ভালোবাসার পরশ।

বুঝতে পারছেন না? খোলাসা করে বলা যাক। ব্যালন ডি’অর জয়ে এবার ফেবারিট ছিলেন বায়ার্ন মিউনিখের পোলিশ স্ট্রাইকার। পোল্যান্ডের মানুষ তাঁর ব্যালন ডি’অর জয়ের আশায় বুক বেঁধেছিল।

কিন্তু লেভা আর পোলিশদের হতাশ করে পুরস্কারটা ওঠে লিওনেল মেসির হাতে। পিএসজির এই আর্জেন্টাইন তারকাও ব্যালন ডি’অর জয়ে ফেবারিট ছিলেন। শেষ পর্যন্ত বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারটি মেসির হাতেই ওঠে। কিন্তু পোল্যান্ডের শহর ওয়েলিকজাকার জনগণ তাতে দমে যায়নি। লেভা ব্যালন ডি’অর জিততে পারেননি তো কী হয়েছে, ওয়েলিকজাকার জনগণ তাঁকে সান্ত্বনা হিসেবে একটা বল বানিয়ে দেবে।

প্রথমে জানা গিয়েছিল, পোলিশদের এ সান্ত্বনা পুরস্কার দেওয়ার খবরটি স্রেফ রসিকতা। কিন্তু পরে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সত্যিই লেভার হাতে তুলে দেওয়া হবে এ পুরস্কার। ওয়েলিকজাকার শহরটি লবণের খনির জন্য বিখ্যাত। সেখানকার সিটি কাউন্সিলর মনে করেন, লেভার ব্যালন ডি’অর না পাওয়া ‘অনেক বড় অবিচার’।

কাউন্সিলর কামিল জাস্ত্রাবেস্কি টুইট করেন, ‘অনেক বড় অবিচার করা হয়েছে। রবার্ট লেভানডফস্কি তার শিকার। ওয়েলিকজাকার একজন সদস্য হিসেবে আমি বলছি, এই শহর তাকে বিশ্বের সেরা ফুটবলার হিসেবে ঘোষণা করছে। কয়েক ঘণ্টা আগেও যা স্রেফ মজা ছিল, এখন সেটাই বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে, লেভাকে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি দেওয়া হবে।’

জাস্ত্রাবেস্কি টুইটে আরও বলেন, ‘শহরের অনেকেই আমাদের অধিনায়ককে লবণের বল উপহার দিতে চান। অতীতে একসময় লবণকে “সাদা সোনা” বলা হতো। তাই এটার ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিক ভিত্তি রয়েছে। আমার ধারণা মুদ্রাস্ফীতি ও মন্দার এ সময়ে ওয়েলিকজাকার সে জন্য (লবণের বল) পর্যাপ্ত লবণ সংগ্রহ করতে পারবে।’

ইউরোপের ক্লাব ফুটবলে সুনাম কুড়ানো লেভা তাঁর দেশ পোল্যান্ডে খুব জনপ্রিয়। স্বাভাবিকভাবেই ঘরের ছেলেকে সম্মানিত করতে চাইবে পোলিশরা। ২০২০ সালের ব্যালন ডি’অর জয়েও ফেবারিট ছিলেন লেভা। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সেবার ব্যালন ডি’অর দেওয়া হয়নি।

এবার পুরস্কারটি হাতে মেসি সে জন্য লেভার প্রতি দুঃখ প্রকাশ করেন। তবে অনেকেই মনে করেন, এবার এই ট্রফি লেভানডফস্কির হাতেই ওঠা উচিত ছিল।