সার্কাসের মধ্যেও সার্কাস, কারা চালাচ্ছে দেশের ফুটবল?
খেলা শেষ। কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইটের বাতি নিভে গেছে।
পোশাক পরিবর্তন করে মোহামেডান স্পোর্টিং লিমিটেডের খেলোয়াড়েরা বাসের সিটে বসে পড়েছেন। বাস ছাড়ার অপেক্ষায় ছিলেন তাঁরা। প্রতিপক্ষ স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের খেলোয়াড়েরাও মূল ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন নিজেদের বাসের অপেক্ষায়।
এমন সময় খবর এল, আবার খেলোয়াড়দের মাঠে ফিরতে হবে। নামতে হবে টাইব্রেকার নামক স্নায়ুর লড়াইয়ে। ম্যাচটি যেহেতু ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ নির্ধারণে ম্যাচের ফল বের করতে হবে।
দেখা গেল, বাসে ঘুমাচ্ছেন মোহামেডানের গোলরক্ষক মোহাম্মদ সুজন। তাঁকে জাগিয়ে দলের সঙ্গে মাঠে ফেরানো হলো। মাঠে ফিরলেন স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের ফুটবলাররাও। দুই দল গা গরম করে নেমে পড়ল টাইব্রেকারে।
শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে স্বাধীনতাকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখে মোহামেডান। প্রশ্ন উঠেছে, ফেডারেশন আগে টাইব্রেকারের ব্যবস্থা করেনি কেন? উত্তর একটাই, ফেডারেশনের হঠাৎ মনে পড়েছে, টাইব্রেকার করতে হবে! কারা চালাচ্ছে দেশের ফুটবল, ফুটবলারদের ভিড়ে উঠে যায় এ প্রশ্নও।
ফেডারেশন কাপের একই গ্রুপে মোহামেডান ও স্বাধীনতার সঙ্গে ছিল বসুন্ধরা কিংস। কিন্তু খেলোয়াড়দের সুরক্ষার কথা ভেবে ঝুঁকিপূর্ণ টার্ফে না খেলার সিদ্ধান্তের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে বাফুফেকে জানিয়ে দেয় বসুন্ধরা। তাই গ্রুপে দল দুটি। কোয়ার্টার ফাইনালে কে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ হিসেবে খেলবে, এ নিয়েই প্রশ্ন।
নির্ধারিত সময়ে ম্যাচটি ছিল ১-১ গোলে ড্র। ৩৯ মিনিটে মালির স্ট্রাইকার ও দলের অধিনায়ক সুলেমান দিয়াবাতের গোলে এগিয়ে যায় মোহামেডান। সাহেদ মিয়ার কর্নারে বক্সের মধ্যে লাফিয়ে উঠে হেডে গোলটি করেন দিয়াবাতে।
এক মিনিট পরই স্বাধীনতাকে ম্যাচে ফেরায় বসনিয়ার স্ট্রাইকার নেদো তুর্কোভিচ। রাসেল আহমেদের রক্ষণচেরা থ্রু থেকে ডান পায়ের প্লেসিংয়ে গোলটি করেন তিনি।