হতাশার উল্টো দিকে স্বস্তি
>


এটা এমন কোনো ড্র ছিল না যে জয় মনে হবে জিনেদিন জিদান
আমরা চেষ্টা করেছি ম্যাচ যাতে সমতায় শেষ না হয়, কিন্তু পারিনি লুইস এনরিকে
মাঝে ব্যবধান প্রায় আট মাস। কিন্তু উদ্যাপনের ছবিটা প্রায় একই রকম। গত এপ্রিলে ন্যু ক্যাম্পে বার্সেলোনার সঙ্গে ম্যাচের পর নিজেদের ড্রেসিংরুমে ফিরেই ছবি তুললেন রিয়াল মাদ্রিদ খেলোয়াড়েরা। দু-একজনের গায়ে জার্সি থাকলেও অধিকাংশই ‘অর্ধনগ্ন’। তাতে কী এসে যায়? বার্সার মাঠে জয় বলে কথা! যে জয়ের পর গত মৌসুমের শেষ দিকে দারুণ ফর্মও পেয়ে গিয়েছিল রিয়াল।
পরশু অবশ্য জয় পায়নি জিনেদিন জিদানের দল, কিন্তু হার দেখতে দেখতে শেষ মুহূর্তে ড্র করতে পারাটাও কি কম! এল ক্লাসিকোতে বার্সার মাঠে ৯৮ হাজার দর্শকের সামনে এভাবে ড্র করতে পারাটাও তো জয়ের সমান। তাই ড্রেসিংরুমে ফিরে আবারও ও রকম একটা ছবি!
রিয়াল কোচ জিদান অবশ্য এমন ড্রয়ের পরও আত্মতুষ্ট নন, ‘আমি নিশ্চিত নই, এটা যথার্থ ফল কি না। কিন্তু এটাই ম্যাচের ফল। এটা এমন কোনো ড্র ছিল না যে জয় মনে হবে। শেষ পর্যন্ত ১ পয়েন্টই পেয়েছি, তিনটি নয়। তবে এটা সত্যি আমরা খুশি, কারণ এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা পয়েন্ট। দেখা যাক পরের ম্যাচে কী হয়।’
মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকো ড্র করে শিরোপাদৌড়ে বেশ এগিয়ে গেল রিয়াল। ১৪ ম্যাচ শেষেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সার চেয়ে ৬ পয়েন্ট এগিয়ে জিদানের দল। বার্সেলোনা কোচ লুইস এনরিকে ম্যাচের ফলটা মেনে নিতে পারছেন না এ কারণেই, ‘এটা আমাদের জন্য মোটেও ভালো ফল না। প্রথমার্ধে দুই দল সমতায় ছিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে আমরাই ভালো খেলেছি, বেশি সুযোগ সৃষ্টি করেছি। আমরা চেষ্টা করেছি ম্যাচ যাতে সমতায় শেষ না হয়, কিন্তু পারিনি। এটা আমাদের জন্য বড় ধাক্কা।’ জিদান অবশ্য বলছেন উল্টো কথা, ‘আমার মনে হয় না, এ ম্যাচের ফলেই বার্সেলোনার মনোবল ভেঙে যাবে। আমরা ৬ পয়েন্ট এগিয়ে, কিন্তু এতে কিছুই যায় আসে না। মৌসুমের এখনো অনেক বাকি।’
ম্যাচটা কিন্তু সহজেই জিততে পারত বার্সেলোনা। সুয়ারেজের প্রথম গোলের পর আরও দুবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল কাতালান ক্লাবটি। আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার দুর্দান্ত পাস কাজে লাগাতে পারেননি লিওনেল মেসি। কেইলর নাভাসকে একা পেয়েও বারের ওপর দিয়ে বল পাঠিয়েছেন নেইমার। এনরিকের দুঃখ এখানেই, ‘আমরা বড় দুটো সুযোগ পেয়েছিলাম ম্যাচ শেষ করে দেওয়ার। কিন্তু লিও ও নেই পারেনি। এটাই ফুটবল।’
উল্টো ম্যাচের ৯০ মিনিটে লুকা মডরিচের ফ্রি-কিক থেকে হেডে গোল করে ম্যাচে সমতা এনেছেন রামোস। শেষ মুহূর্তে প্রতিপক্ষের মন ভাঙা যেন অভ্যাসে পরিণত করেছেন রিয়াল অধিনায়ক। জিদানও তাই উচ্ছ্বসিত তাঁর অধিনায়ককে নিয়ে, ‘এখন আর আমাকে এ বিষয়টি অবাক করে না। সে তো এমনই। তার অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। এসব ম্যাচে আপনি সব সময় ওর ওপর আস্থা রাখতে পারেন। সে কখনো মাথা নত করে না, হাল ছাড়ে না। শেষ মিনিট পর্যন্ত লড়ে।’ এএফপি, মার্কা, ডেইলি মেইল।
