'ট্রাম্প' হতেন ইব্রাহিমোভিচ!
>জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের দাবি, ১০ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে পা রাখলে এত দিনে প্রেসিডেন্ট হয়ে যেতেন
কখনো রাজা হচ্ছেন, কখনো কিংবদন্তি। এমনকি ঈশ্বরও হয়ে যান জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ। ফুটবলে অর্জন নিয়ে গর্বিত ইব্রা এভাবেই একেকটি ক্লাবে গিয়ে নিজের ‘লিগ্যাসি’র কথা জানান। তবে এবার আর খেলায় আটকে রাখেননি নিজেকে, একদম যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতেই স্থান করে নিয়েছেন। ইব্রার দাবি, ১০ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে পা রাখলে এত দিনে প্রেসিডেন্ট হয়ে যেতেন!
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে চুক্তি শেষ করে এক দিন পরই এলএ গ্যালাক্সিতে যোগ দিয়েছেন ইব্রাহিমোভিচ। মেজর লিগ সকারে এসেই ঝড় তুলেছেন, ১৫ ম্যাচে করেছেন ১২ গোল। তাঁর আগমনে এমএলএস বাড়তি রং পেয়েছে, এটা নিশ্চিত। যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলে তাঁর আগমন কেমন প্রভাব রাখছে, ফুটবল-সংস্কৃতি পরিবর্তন হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্ন রাখা হয়েছিল। উত্তরটা ছিল সম্পূর্ণ ইব্রাসুলভ, ‘জানি না আমি কিছু বদলিয়েছি কি না, আমি শুধু আমার কাজই করছি। ওরা ভাগ্যবান, আমি ১০ বছর আগে আসিনি। তাহলে আজ আমি প্রেসিডেন্ট থাকতাম!’
ওভাল অফিসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বদলে ইব্রাহিমোভিচকে দেখতে পাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার দুঃখে ভক্তদের নির্ঘাত চুল ছিঁড়তে ইচ্ছা করছে? সে ক্ষেত্রে একটি তথ্য জানিয়ে দেওয়া যাক, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে চাইলে তাঁকে সেখানে জন্ম নিতে হয় কিংবা আমেরিকার অধীনে থাকা অন্য দেশের ভূখণ্ডে জন্ম নিতে হয়। ইব্রাহিমোভিচকে এ তথ্য জানানোর সাহস অবশ্য প্রশ্নকর্তার হয়নি।
রাজনীতিতে না পারলেও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এখনো নাক গলানোর (স্বীকার করে নিতেই হচ্ছে, গলানোর মতো যথেষ্ট নাক ইব্রার আছে!) সম্ভাবনা আছে সাবেক সুইডিশ স্ট্রাইকারের। বাস্কেটবলের মহাতারকা লেব্রন জেমসকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ইব্রা। তাঁর দাবি, চাইলে বাস্কেটবলেও বিশ্বজয়ী হতে পারেন তিনি, ‘আমি অনেক খেলাই খেলেছি। বলের যেকোনো কিছুতেই আমি অবিশ্বাস্য। আমি যদি বাস্কেট (ইব্রা বাস্কেটবলকে বাস্কেটই বলেন) খেলতাম, কোনো সমস্যা ছাড়াই লেব্রনের সঙ্গে খেলতে পারতাম। ওদের (লস অ্যাঞ্জেলেস লেকারস) যদি সাহায্য দরকার হয়, আমি করব।’
এ মৌসুমেই লেকারসে যোগ দিয়েছেন লেব্রন। তাঁকে স্বাগত জানাতে ইব্রাহিমোভিচের টুইটটিও ছিল দুর্দান্ত, ‘এখন এলএর একজন ঈশ্বর ও রাজা আছে!’ কে রাজা আর কে ঈশ্বর—সেটা ইব্রাকে চিনলে বুঝে ফেলার কথা!