
অপেক্ষায় ছিলেন সবাই। অপেক্ষায় থাকতে হয়নি বেশি। ঠিক সময়েই চলে এলেন তিনি। এলেন, হাততালি দিলেন, দর্শকদের গলা ফাটাতে বাধ্য করলেন। একটা ক্যামেরা জোগাড় করে একটু ছবি-টবিও তুললেন। তারপর নিজের কাজটা করে স্টেডিয়াম ছাড়লেন। ‘কাজ’টা কী? ওই যে ফাইনালে ওঠা! নিজের শেষ ১০০ মিটারের সেমিফাইনালে কোনো অঘটন ঘটতে দেননি উসাইন বোল্ট, সবাইকে স্বস্তি দিয়ে অনায়াসে জায়গা করে নিলেন ফাইনালে।
সর্বকালের সেরা অ্যাথলেট ফাইনালে উঠবেন এটাই তো স্বাভাবিক। লন্ডন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপই বা ব্যতিক্রম হবে কেন? কিন্তু এমন আরেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপেই তো বোল্টের চোখে জল দেখা গিয়েছিল। ২০১১ সালে দেগুতে ‘ফলস স্টার্টের’ কারণে নিজের রাজত্ব হারিয়েছিলেন ১০০ মিটারে। তবে আজ আর তেমন দেখতে হয়নি সেমিফাইনালে।
নিজের হিটে দ্বিতীয় হয়ে ফাইনালে চলে গেছেন বোল্ট (৯.৯৮ সেকেন্ড)। তাঁকে পেছনে ফেলে ফাইনালে উঠেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিস্টিয়ান কোলম্যান (৯.৯৭ সেকেন্ড)। এ বছর ১০০ মিটারে সবচেয়ে কম সময় (৯.৮২ সেকেন্ড) এই কোলম্যানেরই। বোল্টের মূল দুই প্রতিদ্বন্দ্বী জাস্টিন গ্যাটলিন ও ইয়োহান ব্লেকও উঠেছেন ফাইনালে। তবে দুজনই সময় নিয়েছেন দশ সেকেন্ডের বেশি। স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে ধীরে দৌড় শুরু করে ছিলেন বোল্ট। শেষদিকে ব্যবধান কমিয়ে আনলেও একটুর জন্য কোলম্যানকে ধরতে পারেননি বোল্ট। কিন্তু ফাইনালে কি সে সুযোগ দেবেন বোল্ট?
বোল্টকে শেষবারের মতো ব্যক্তিগত ইভেন্টে দেখতে চাইলে, জেগে থাকুন! বাংলাদেশ সময় রাত ২ টা ৪৫ মিনিটেই ফাইনালে দৌড়াবেন ‘ব্রজবিদ্যুৎ’।