দুই বার করোনায় আক্রান্ত হয়েও জিতলেন অলিম্পিক সোনা
সাঁতার শেষ করে চোখ থেকে চশমাটা খুললেন। এরপর টম ডিন স্কোরের দিকে তাকালেন। চোখটা ছানাবড়া হয়ে গেল তাঁর। মুখটা হা করে দুহাত মাথায় তুললেন। যা হয়েছে, তা যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না!
টম ডিনের প্রতিক্রিয়া দেখে অনেকেরই মনে হতে পারে তিনি কিছুই জিততে পারেননি। আসলে ব্যাপারটা কিন্তু তা নয়, ছেলেদের ২০০ মিটার ফ্রি–স্টাইল সাঁতারে টম ডিন জিতেছেন সোনার পদক।
ডিন তো আসলে এটাই ভাবতে পারেননি যে তিনি অলিম্পিকে অংশ নিতে পারবেন! টোকিও অলিম্পিকের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় দুবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ব্রিটিশ সাঁতারু।
করোনা থেকে দুবার সেরে ওঠা ডিনের প্রস্তুতিতেও ঘাটতি ছিল। বছরের শুরুর দিকে আইসোলেশনে থাকতে হয়েছিল তাঁকে। অনুশীলন দূরে থাক, ঠিকভাবে ব্যায়ামটাও করতে পারছিলেন না।
কিন্তু সব ঘাটতি পুষিয়ে অবিশ্বাস্যভাবে সোনার পদক জিতে নিয়েছেন ২১ বছর বয়সী ডিন। সতীর্থ ডানকান স্কটের চেয়ে ০.০৪ সেকেন্ড কম সময় নিয়ে সোনা জিতেছেন ডিন, ডানকান জিতেছেন রুপা। ১৯০৮ সালের পর অলিম্পিকে প্রথমবারের মতো সাঁতারের কোনো ইভেন্টে একই সঙ্গে সোনা ও রুপা জয়ের কীর্তি গড়ল গ্রেট ব্রিটেন।
গতকাল অ্যাডাম পিটির ১০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে সোনাসহ এই নিয়ে এবারের অলিম্পিকে এটি গ্রেট ব্রিটেনের সাঁতারে ছেলেদের দ্বিতীয় সোনা জয়।
দুবার করোনাকে জয় করা ডিন সোনা জয়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘অসাধারণ এক অনুভূতি। গলায় সোনার পদক ঝোলানোর একটি স্বপ্ন পূরণ হলো।’
ডিন এরপর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সময়কার কঠিন দিনগুলোর কথা বলেছেন, ‘গত ১২ মাসে আমার দুবার করোনা হয়েছে। নিজের ফ্ল্যাটে আইসোলেশনে ছিলাম। তখন তো অলিম্পিক সোনা ছিল আমার চেয়ে লাখ লাখ মাইল দূরে।’
ডিন প্রথমবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন গত বছরের সেপ্টেম্বরে। এরপর এ বছরের শুরুর দিকে। দ্বিতীয়বার শারীরিক দিক থেকে তিনি বেশ ভেঙে পড়েছিলেন। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে ডিন বলেছেন, ‘দ্বিতীয়বার অবস্থা প্রথমবারের চেয়ে ভয়ংকর ছিল। প্রায় ১০ দিন আমি খুব অসুস্থ ছিলাম। করোনা নেগেটিভ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অনুশীলনে ফিরতে পারিনি। শরীর ঠিক হতে কয়েক সপ্তাহ লেগেছে।’