বাংলাদেশকে নিয়ে বড় আশা নেই আশরাফুলদের
ঘরের মাঠে বাড়তি সুবিধা নিতে চায় সব দলই। প্রতিপক্ষ যত শক্তিশালীই হোক, কিছু একটা করে দেখানোর প্রতিশ্রুতি দিতে দ্বিধা করে না ছোট দলও। ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশ হকি দলকে। আজ মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে শুরু ষষ্ঠ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হকিতে জয়ের আশা করতে পারছে না স্বাগতিকেরা। এমনিক ড্রয়ের কথাও বলছেন না কেউ।
বিশ্ব হকির তালিকায় ভারত এখন তিনে। দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও পাকিস্তানের অবস্থান ১৬, ১৭ ও ১৮। ৩৮তম স্থানে থাকা বাংলাদেশের পক্ষে মাথা তুলে দাঁড়ানোটা এখানে কঠিনই। তাই যতটা সম্ভব সম্মান রেখে খেলতে পারলেই খুশি থাকবে বাংলাদেশ। অন্তত কোচ-অধিনায়কের কথাবার্তায় তেমনটাই মনে হচ্ছে।
বাংলাদেশ কোচ ইমান গোবিনাথান বারবার প্রস্তুতি স্বল্পতার কথা বলছেন। প্রায় ৪০ মাস আন্তর্জাতিক ম্যাচ না খেলার বিষয়টি উল্লেখ করে তাঁর কথা, ‘এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের বেশি কিছু চাওয়ার নেই। অন্যরা অনেক বেশি এগিয়ে। তবু যতটা সম্ভব নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে চাই আমরা। আমি অযথা স্বপ্ন দেখাব না।’
বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক আশরাফুল ইসলাম অঘটনের স্বপ্ন দেখাতেও সাহস পাচ্ছেন না। মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে কাল ট্রফি উন্মোচনের পর এই ডিফেন্ডার ও পেনাল্টি কর্নার বিশেষজ্ঞ কথা বলেন সতর্কতার সঙ্গে, ‘এটা অনেক বড় প্রতিযোগিতা, প্রতিপক্ষ অনেক বড়। আমরা ম্যাচ জিতব—এটা বলাও হবে অবাস্তব।’
এশিয়ার সেরা দলগুলোর সঙ্গে খেলে অনেক কিছু শেখার আছে জানিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়কের সংযোজন, ‘ভারত অলিম্পিক পদকজয়ী। অন্য দলগুলোও শক্তির বিচারে আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। তবে কোচের নির্দেশনা অনুযায়ী খেলতে পারলে দল ভালো খেলবে বলে আমার বিশ্বাস।’
আশরাফুলের আশা, জাপান ও পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা দুটি প্রস্তুতি ম্যাচের অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে তাঁদের, ‘এ দুটি ম্যাচে দল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছেন কোচ। টুর্নামেন্টে আমাদের ভালো খেলার জন্য ম্যাচ দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দেশের মাটিতে খেলা, আশা করি নিজেদের সেরাটাই দিতে পারব।’
কিন্তু বড় দলের বিপক্ষে যে নিজেদের সেরা খেলা খেলতে পারাটাও বড় চ্যালেঞ্জ। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হকিতে সেই পরীক্ষার সামনেই দাঁড়িয়ে স্বাগতিক বাংলাদেশ দল।