আইসিসির নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর পুরোনো সেই ছন্দটা যেন খুঁজে পাচ্ছিলেন না! সাকিব আল হাসান কি তবে হারিয়ে যাচ্ছেন, এমন শঙ্কার কথাও চলে আসছিল অনেকের মুখে। কিন্তু জিম্বাবুয়ে ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে সাকিব সেই শঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন পারফরম্যান্স দিয়েই। শুধু পারফরম্যান্স কেন, মাঠে তাঁর উপস্থিতিও এখন আগের চেয়ে বেশি প্রাণবন্ত, তরুণদের জন্য প্রেরণাদায়ক। টি-টোয়েন্টির সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান যুক্তরাষ্ট্র থেকে মুঠোফোনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জয় এবং দলে তাঁর বর্তমান ভূমিকা নিয়ে

অনেক দিন পর পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রে কেমন আছেন সবাই?

সাকিব আল হাসান: আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছে।

প্রশ্ন: বাচ্চারা তো অনেক দিন পরপর পাচ্ছে বাবাকে। তাদের প্রতিক্রিয়া কী?

সাকিব আল হাসান: এখন ওদেরও অভ্যাস হয়ে গেছে। বড়টা তো এখন বোঝে যে আমি কয় দিন পরপরই থাকব না, আবার কয় দিন পরপরই আসব। আমি এখানে এলে সারাক্ষণই ও আমার সঙ্গে সঙ্গে থাকে। মনে হয় আমি যেন হ্যামিলিনের বাঁশিওয়ালা! ওদের হাতে তো আর কোনো অপশনও নেই (হাসি)।

জিম্বাবুয়ে ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পরপর দুটি সিরিজে বাংলাদেশ দল ভালো খেলল। আপনার নিজের জন্য সিরিজ দুটি কেমন গেল?

সাকিব: দল হিসেবে আমাদের যে খুব ভালো একটা সময় গেল, এটাই গুরুত্বপূর্ণ আমার কাছে। বিশ্বকাপের আগে আত্মবিশ্বাস পেতে এর চেয়ে ভালো আর কিছু হতে পারে না। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সামনের সিরিজে ফলাফল যেমনই হোক, এই আত্মবিশ্বাস অনেক কাজে আসবে। নিজের জন্য সিরিজগুলো কেমন হলো, ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে এসে এসব নিয়ে ভাবার সুযোগ আমার নেই বলেই মনে হয়। এখন দলের কথাই আগে মাথায় আসে। দলের ভালো ফলাফলই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম সিরিজ জয়, সেটা তো নিশ্চয়ই আপনার জন্যও বিশেষ কিছু?

সাকিব: অবশ্যই। ওদের সঙ্গে আগে আমরা কখনো সিরিজ জিতিনি। সেদিক থেকে আমি খুবই আনন্দিত। এখন সম্ভবত ইংল্যান্ডই শুধু বাকি, যাদের বিপক্ষে আমরা সিরিজ জিতিনি। বাকি সব দেশের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছি এবং সব কটিতেই আমি দলের অংশ ছিলাম। এখন যদি কোনো এক সময় ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও সিরিজ জয় আসে, সেটা হবে আরও দারুণ কিছু। আমি অবশ্যই চাইব সেই দলেও থাকতে।

টি–টোয়েন্টিতে আবারও আইসিসির শীর্ষ অলরাউন্ডার হয়েছেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান
ছবি: প্রথম আলো

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জয়কে অনেকে কিন্তু বাঁকা চোখেও দেখেছেন। নিজেদের কন্ডিশনের পুরো ফায়দা নিয়েই নাকি আপনাদের এই সাফল্য। কী বলবেন?

সাকিব: এগুলো তারাই বলে যাদের মনের ভেতরটা শুধু হিংসায় ভরা। তারা বাংলাদেশের অর্জনকে ঈর্ষা করে। ঘরের মাঠে কে নিতে চাইবে না নিজেদের কন্ডিশনের সুবিধা? কোন দল নেয় না সেটা?

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টির পর অস্ট্রেলিয়া সিরিজেও বাজে অবস্থা থেকে ফিরে ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে এটা আগে হতো না। আপনার কি মনে হয় টি–টোয়েন্টির রসায়নটা বুঝতে শুরু করেছে দল?

সাকিব: জানি না কতটা ধরতে পারছি বা বুঝতে পারছি। তবে আগের চেয়ে যে মানসিকভাবে আমরা ভালো অবস্থানে আছি, সেটা গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি। টি-টোয়েন্টিতে আগে আমাদের মানসিকতাই থাকত যে এই খেলাটা আমরা অত ভালো খেলি না। এখন সে জায়গা থেকে অনেকটা সরে এসেছি। এখন সবাই জানে, এই সংস্করণেও ভালো করা আমাদের পক্ষে সম্ভব।

সন্তানদের সঙ্গে সাকিব আল হাসান।
ছবি:সংগৃহীত

বড় দলের বিপক্ষে খেলায় কি আপনার মধ্যে বাড়তি অনুপ্রেরণা কাজ করে? মাঠে আপনাকে দেখে সেটাই মনে হয়…

সাকিব: চ্যালেঞ্জটা তখন একটু বেশি থাকে, সে জন্য বাড়তি একটা ব্যাপার তো কাজ করেই। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের কথা যদি বলেন, জিম্বাবুয়ে সিরিজ আর এই সিরিজটা আমি নিশ্চয়ই একই রকম মানসিকতা নিয়ে খেলিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আমরা কখনো টি-টোয়েন্টি জিতিনি, সিরিজ জিতিনি। জয়ের তৃষ্ণা স্বাভাবিকভাবেই এই সিরিজে বেশি ছিল।

টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ে নিউজিল্যান্ড তিন নম্বরে। কিন্তু বাংলাদেশে তারা পাঠাচ্ছে দুর্বল দল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলের কেউ নেই সেখানে। এটাকে কীভাবে দেখেন?

সাকিব: একটু হতাশাজনক তো বটেই। তবে এটাতে আমাদের কিছু করার নেই। এটা ওদের বোর্ডের ব্যাপার, ওদের খেলোয়াড়দের ব্যাপার। আমরা জানি, আমরা নিউজিল্যান্ডের সঙ্গেই খেলতে যাচ্ছি। ওদের বিপক্ষে যতটা ভালো খেলা যায় খেলব। দিন শেষে খেলা হচ্ছে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের। কোনো খেলোয়াড়ের সঙ্গে খেলোয়াড়ের খেলা হচ্ছে না। রেকর্ডে এটা লেখা থাকবে না যে আমরা নিউজিল্যান্ডের এমন একটা দলকে হারিয়েছি, যেখানে বিশ্বকাপের একজন খেলোয়াড়ও ছিল না। এখানে দলটাই গুরুত্বপূর্ণ, খেলোয়াড় নয়। তা ছাড়া নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আমরা কখনো টি-টোয়েন্টি জিতিনি। একটা বাড়তি অনুপ্রেরণাও তাই থাকবে।

নিউজিল্যান্ড দল যা–ই আসুক সাকিব মনে করেন দিন শেষে ওটা নিউজিল্যান্ডই
ছবি: শামসুল হক

অনেকে বলেন, বাংলাদেশের হয়ে সব ম্যাচ আপনি একই রকমভাবে খেলেন না। কিছু ম্যাচে সবকিছুতেই নিজেকে জড়িয়ে রাখেন। আবার কখনো কখনো আপনাকে খুব নির্লিপ্ত মনে হয়। যেন খেলার জন্যই খেলছেন। আপনি কি একমত এর সঙ্গে?

সাকিব: (হাসি) এটা তো আমার পক্ষে বলা খুবই মুশকিল। তবে মানুষ হিসেবে সবার পক্ষে প্রতিদিন একই রকম উদ্দীপ্ত থাকা, একই রকম পারফর্ম করা, একই রকমের চিন্তাভাবনা করা সম্ভব নয়। এ রকম যদি হয়েও থাকে, সেটা স্বাভাবিক কারণেই হয়। আমি চেষ্টা করি সব সময় ভালো করতে, সবকিছুতে সম্পৃক্ত থাকতে। কিন্তু সব সময় এটা হয় না। এটা সম্ভবও নয়।

কিন্তু বিশেষ কোনো ম্যাচে কি মানসিকভাবে আপনি বাড়তি উদ্দীপ্ত থাকেন, যে এই ম্যাচটা জিততেই হবে?

সাকিব: জেতার চিন্তা সব ম্যাচেই থাকে। তারপরও যারা খেলাধুলা করে তারা জানে ড্রেসিংরুমে, মাঠে খেলার মধ্যে বা খেলার আগের দিনও মাঝে মাঝে এমন কিছু ঘটনা ঘটে, যেটা একজন খেলোয়াড়কে আরও বেশি উদ্দীপ্ত করে তোলে। এটা হতে পারে কোনো ঘটনায়, কারও কোনো কথায় বা কিছু দেখা থেকেও।

এখন আপনি যে অবস্থানে আছেন, আপনার কথাই তো অন্যদের অনুপ্রাণিত করবে। আপনার আর নতুন করে অনুপ্রাণিত হওয়ার কিছু আছে কি?

সাকিব: থাকে…সবারই অনুপ্রাণিত হওয়ার জন্য কিছু না কিছু থাকে। একজন খেলোয়াড় যত দিন খেলে, তত দিনই তার জীবনে অন্যকে অনুপ্রাণিত করার এবং নিজের মধ্যে বাড়তি অনুপ্রেরণা আনার মতো কিছু না কিছু ঘটে।

সাকিব অনুপ্রাণিত হন অনেক কিছু দিয়েই
ছবি: প্রথম আলো

জিম্বাবুয়ে ও অস্ট্রেলিয়া সিরিজে আপনার সঙ্গে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর খুব ভালো বোঝাপড়া দেখা গেছে। এটা কি অনেক দিন একসঙ্গে খেলাতেই নাকি দুজনের মধ্যে কোনো আলোচনা ছিল?

সাকিব: আলোচনার ও রকম কিছু নেই আসলে। তাঁর সঙ্গে আমার বোঝাপড়া সব সময়ই খুব ভালো। মাঠে সেটাই কাজে লেগেছে। আমরা যখন একসঙ্গে ব্যাটিং করি, আমাদের কখনো একজন আরেকজনকে ‘কল’ দেওয়া লাগে না। রানিং বিটউইন দ্য উইকেটেও আমাদের ভুল-বোঝাবুঝি হয় না।

ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল এবং টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হকের সঙ্গে আপনার বোঝাপড়াটা কেমন?

সাকিব: সবার সঙ্গেই বোঝাপড়া ভালো। তবে মুমিনুল অধিনায়ক হওয়ার পর ওর সঙ্গে আমার খুব বেশি সময় কাটানোর সুযোগ হয়নি। কথাবার্তা হলে নিশ্চয়ই আরও ভালো বোঝাপড়া হবে।

দলে আসা তরুণ ক্রিকেটারদের সঙ্গেও আপনার বোঝাপড়া ভালো মনে হচ্ছে। তারা এটাতে বেশ অনুপ্রাণিত

সাকিব: এটা আসলে খেলতে খেলতেই হয়ে যাচ্ছে। এমন নয় যে আলাদা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে ওদের অনুপ্রাণিত করছি, বোঝাচ্ছি। ওরা এমনিতেই অনেক কিছু জানে, বোঝে। হ্যাঁ, যদি আমার কখনো মনে হয় কোনো একটা কথা বললে ওদের ভালো হবে, সেটা বলার চেষ্টা করি। এর বাইরে কিছু নয়।

নতুনদের মধ্যে কেমন সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন?

সাকিব: দেখুন, আমাদের হয়তো জাতীয় দলে এসেও অনেক কিছু শিখতে হয়েছে। কিন্তু নতুন যারা আসছে, ওরা অনেক বেশি প্রতিভাবান। অনেক কিছু জেনেই এসেছে জাতীয় দলে। জাতীয় দলে খেলা সব সময়ই চ্যালেঞ্জের। তারপরও ওরা যেভাবে তৈরি হয়ে এসেছে, এই পর্যায়ে খেলা ওদের জন্য সহজ হবে বলে আমার বিশ্বাস। ড্রেসিংরুমের পরিবেশটাও ওদের জন্য এখন ভালো। বলছি না যে আগে খারাপ ছিল। কিন্তু এখন সেখানে জয়ের মানসিকতা এসেছে। আগে তো আমাদের অত বেশি জয়ের অভিজ্ঞতা ছিল না। কিন্তু এখন যারা দলে আসছে বা খেলছে, সবাই ম্যাচ জিতেছে, জিতছে। সে অভিজ্ঞতা তো অবশ্যই কাজে লাগে।

আবারও আইসিসির অলরাউন্ডারদের শীর্ষে সাকিব
ছবি: প্রথম আলো

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের লক্ষ্য কী হওয়া উচিত?

সাকিব: বিশ্বকাপ নিয়ে এখনো সেভাবে চিন্তা করিনি। আপাতত সব মনোযোগ নিউজিল্যান্ড সিরিজে। একটা একটা করে যাওয়াই ভালো। নিউজিল্যান্ড সিরিজটা যদি আমরা ভালোভাবে শেষ করতে পারি, সেটা বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে আমাদের অনেক এগিয়ে রাখবে।

২০১৯ বিশ্বকাপের আগে বাইরের বিভিন্ন দলের ফিজিওদের সঙ্গে কথা বলে অন্য দেশের খেলোয়াড়দের সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছিলেন, যেটা বিশ্বকাপে আপনার অনেক কাজে দিয়েছে। এবারও কি সে রকম কিছু করছেন?

সাকিব: (হাসি) জানি না…আপাতত পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছি। আর যেটা বললাম, আমার এখন ব্যক্তিগত কোনো লক্ষ্য নেই। দলের ভালো খেলাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

মেজাজ হারানোর বিষয়টি নিয়ে আলাদা কোনো কাজ করার কথা ভাবছেন না সাকিব
ছবি: এএফপি

মাঠে অনেকবারই মেজাজ হারিয়েছেন। মাঝেমধ্যে রাগ নিয়ন্ত্রণ করাটা কি কঠিন হয়ে যায় আপনার জন্য?

সাকিব: (একটু ভেবে) হয়তো তাই…(হাসি)।

খেলোয়াড়েরা তো অনেক সময় মনোবিদেরও শরণাপন্ন হন। আপনি কি মনে করেন, সে রকম একটা কিছু করলে এ ক্ষেত্রে আপনার জন্য ভালো হবে?

সাকিব: মনে হয় না আমার সে রকম কিছু করার দরকার আছে।

বোলিংয়ে বড় দুটি রেকর্ড ছুঁয়েছেন সাকিব আল হাসান।
ছবি: শামসুল হক

জিম্বাবুয়ে সফর থেকে দেখছি অনুশীলনের মাত্রা যেন কিছুটা কমিয়ে দিয়েছেন। এটাও নিশ্চয়ই বুঝেশুনেই করেছেন…

সাকিব: আমি অনুশীলন করি, কিন্তু যখন দরকার হয় তখন।

জুলাই মাসে আইসিসির সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

নিউজিল্যান্ড সিরিজের পরপরই আইপিএল খেলতে যাবেন। বিশ্বকাপের আগে সেটাও তো আপনার জন্য প্রস্তুতির ভালো সুযোগ হবে। আইপিএলও হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে…

সাকিব: আইপিএলে তো নানা রকম প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকে। আমি ম্যাচ খেলব নাকি খেলব না, খেললে কয়টা ম্যাচ খেলব, সেসবও দেখতে হবে। না খেললে একধরনের প্রস্তুতি নেব। খেললে আরেক ধরনের প্রস্তুতি হবে। তবে যেটাই হোক, খারাপ হবে না। আর এমন নয় যে আরব আমিরাতে আমি আগে খেলিনি। ওখানকার কন্ডিশন সম্পর্কে ধারণা তো আছেই।

টেস্ট ক্রিকেট থেকে মাহমুদউল্লাহর অবসরের সিদ্ধান্তকে কীভাবে দেখেন?

সাকিব: তাঁকে অবশ্যই আমরা টেস্টে মিস করব। তিনি থাকলে ভালো হতো, তাঁর অভিজ্ঞতা কাজে লাগত। শেষ টেস্টেও তো তিনি খুব ভালো খেলেছেন! তবে সবকিছুরই শেষ আছে। তিনি তাঁর ভবিষ্যতের জন্য যেটা ভালো মনে করেছেন, সেটাই করেছেন। আমাদের উচিত তাঁর সিদ্ধান্তকে সম্মান করা।

টি-টোয়েন্টিতেও তিন নম্বরে ব্যাট করছেন। কিন্তু ব্যাট হাতে মাঝেমধ্যেই সংগ্রাম করতে হচ্ছে। নিজের ব্যাটিংয়ে উন্নতি নিয়ে কাজ করার আছে কি?

সাকিব: সবকিছু নিয়েই কাজ করার আছে। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং। কাজের শেষ নেই আসলে। তবে বিশ্বকাপে ভালো করতে কতটুকু কাজ করতে হবে, সেটা আগে বুঝতে হবে। যা করার বুঝেশুনেই করব।