>
কোয়ার্টার ফাইনালে খেলাটা অনুমিতই ছিল। সেই প্রত্যাশা পূরণের পর লক্ষ্যের ব্যাপ্তি এখন আরও বড়। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের খেলোয়াড়েরা তবু প্রত্যাশার চাপ নিচ্ছেন না। আজ নেপালের বিপক্ষে শেষ আটের ম্যাচের আগে খেলোয়াড়দের নির্ভারই মনে হচ্ছে কোচ
মিজানুর রহমানের কাছে
* নেপালের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনাল কাল (আজ)। কী পরিকল্পনা এই ম্যাচ নিয়ে?
মিজানুর রহমান: ভারতের বিপক্ষে নেপালের সর্বশেষ ম্যাচটির ঘণ্টা খানেক আমরা দেখেছি। এরপর আমাদের অনুশীলন ছিল। তবে ম্যাচের পুরো ভিডিও আমাদের কাছে আছে। আমরা ম্যাচটি দেখে চেষ্টা করব যতটা সম্ভব ওদের সম্পর্কে ধারণা নিতে। তবে তাদের কী আছে না আছে সেসব আমরা ভাবছি না। আমরা ভাবছি আমাদের পরিকল্পনাগুলো কীভাবে কাজে লাগানো যায়।
* প্রতিপক্ষের শক্তির দিক কোনটা মনে হচ্ছে?
মিজান: নেপালকে তেমন শক্তিশালী আমার কোনো দিক দিয়েই মনে হয়নি। তবে ব্যাটিংয়ে একটু শক্তি প্রয়োগ করে খেলে। বোলিংটা সেভাবে দেখার সুযোগ হয়নি।
* বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল তো সহজেই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেল। তারপরও দলের মধ্যে এমন কোনো জায়গা কি আছে যেখানে উন্নতি আনা সম্ভব?
মিজান: আসলে জিততে থাকলে যে সমস্যা বোঝা যাবে না, বিষয়টি তা নয়। ওপেনিংয়ে আমরা কিছু সমস্যায় পড়েছি। এটা নিয়ে কাজও করছি। আশা করি, পরের ম্যাচে এটা কাটিয়ে উঠতে পারব। ওপেনাররা তাদের ছন্দ ফিরে পাবে।
* প্রাথমিক লক্ষ্য পূরণ হওয়ার পর এখন লক্ষ্যটা আরও বড়। সবাই নিশ্চয়ই একটু স্নায়ুচাপেও ভুগছে...
মিজান: যতটুকু বোঝা যাচ্ছে ছেলেরা তেমন একটা স্নায়ুচাপে ভুগছে না...। আসলে দেড় বছর আগে থেকেই এমন একটি ছবি ওদের সামনে তুলে ধরা হয়েছিল। এখন তাই সেই পরিস্থিতিতে পৌঁছে ছেলেরা চাপ নিচ্ছে না। সবাই স্বাভাবিকই আছে।
* দলে স্টুয়ার্ট ল-র ভূমিকা কী?
মিজান: স্টুয়ার্ট ল আমাদের পরামর্শক হিসেবে আছেন। যেভাবে যতটুকু সম্ভব সাহায্য করার উনিও করছেন। বিশ্বকাপের আগেও তিনি এক মাস কাজ করে গেছেন। এখন ছেলেদের ব্যাটিংয়ের ব্যাপারে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে টুর্নামেন্টের মধ্যে আসলে খুব বেশি কিছু পরিবর্তন করা যায় না।
* কোয়ার্টার ফাইনালে দলের কম্বিনেশন কেমন হতে পারে?
মিজান: দল যেহেতু জয়ের মধ্যে আছে, কম্বিনেশন আগের মতোই থাকতে পারে। টিম মিটিংয়ে হয়তো এ নিয়ে আলোচনা হবে।
* গত তিন ম্যাচে একটিও উইকেট পাননি পেসার আবদুল হালিম। তাঁর খেলার সম্ভাবনা কতটুকু?
মিজান: আমরা যত সফর করেছি বা দেশের মাটিতে যত ম্যাচ খেলেছি, ও কিন্তু ভালোই খেলেছে। তার ওপর আমরা ভরসা রাখছি। আর এটা এমন একটি টুর্নামেন্ট যেখানে বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যায় না। এখন যে অবস্থায় আমরা পৌঁছেছি, একটি ম্যাচ বাজে খেললেই আউট। এ জন্য পরীক্ষা করার সুযোগ অনেক নেই।
* দল কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠায় কোচ হিসেবে আপনিও নিশ্চয়ই অনেক আনন্দিত। আপনার ক্যারিয়ারে এটাই কি সর্বোচ্চ সাফল্য?
মিজান: খেলোয়াড়ি জীবনটা ছিল আলাদা। আর এটা অন্য জগৎ। দুইটা দুই রকম। খেলোয়াড় থাকা অবস্থায় সাধ্যের সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এখানেও চেষ্টা করছি শতভাগ দিতে। যেহেতু বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্টে কাজ করি, ভবিষ্যতের জন্য যত বেশি সম্ভব খেলোয়াড় তৈরি করার চেষ্টাই করছি।