পুতিনের প্রশংসা করলেই শাস্তি
ফ্রেঞ্চ ওপেন জিততে চান? হানা দিতে চান রাফায়েল নাদালের একচ্ছত্র রাজত্বে? চিন্তা বাড়াতে চান গতবারের চ্যাম্পিয়ন নোভাক জোকোভিচের কপালে? কিংবা হতে চান গতবারের নারী এককের চ্যাম্পিয়ন বারবোরা ক্রেজিকোভার উত্তরসূরি?
অমন ইচ্ছে থেকে থাকলে আর যা–ই হোক না কেন, অন্তত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশংসা করতে যাবেন না! করলেই যে বিপদ!
খোলাসা করে বলা যাক। প্রতিবছর ফ্রেঞ্চ ওপেন আয়োজন করে থাকে রোলাঁ গারোঁ কর্তৃপক্ষ। সেই কর্তৃপক্ষই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কোনো খেলোয়াড় যদি পুতিনের মতাবলম্বী হন, পুতিনকে সমর্থন করেন, তাহলে তাঁকে শাস্তি দেওয়া হবে। ব্যাপারটা নিশ্চিত করেছেন মহিলা টেনিসের সাবেক এক নম্বর তারকা ও বর্তমানে রোলাঁ গারোঁর একজন পরিচালক অ্যামেলি মরেসমো।
ফ্রান্স ইন্তার রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই হুঁশিয়ারি শুনিয়েছেন মরেসমো, ‘ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ক্রীড়ামন্ত্রীদের সঙ্গে আমরা একমত। রাশিয়া বা বেলারুশ থেকে আসা কোনো দলকে আমরা আমন্ত্রণ জানাব না, তবে ক্রীড়াবিদদের ব্যক্তিগতভাবে আমন্ত্রণ জানানো হবে। তবে হ্যাঁ, কোনো ক্রীড়াবিদ যদি প্রকাশ্যে পুতিনকে সমর্থন দিয়ে থাকেন, তাহলে তাঁকে শাস্তি দেওয়া হবে।’
ব্যক্তিগতভাবে আমন্ত্রণ যেহেতু দেওয়া হবে, সেহেতু ছাড় পাচ্ছেন বিশ্বের দুই নম্বর পুরুষ টেনিস তারকা দানিল মেদভেদেভ, আন্দ্রেই রুবলেভ ও আরিনা সাবালেঙ্কা।
রাশিয়ার পতাকা নিয়ে তাঁরা টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবেন না যদিও। এ তিনজন আবার উইম্বলডন খেলতে পারবেন না। রাশিয়ার খেলোয়াড় হওয়ার জন্য এবারের উইম্বলডন থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে তাঁদের। উইম্বলডনের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন জোকোভিচ থেকে শুরু করে অ্যান্ডি মারে পর্যন্ত অনেক তারকা।
তবে মরেসমো জানেন, ব্যাপারটা এতই স্পর্শকাতর, চাইলেও শতভাগ নিরপেক্ষ সিদ্ধান্ত দেওয়া সম্ভব না, ‘খুবই জটিল একটা বিষয়। খুব সম্ভবত এ ব্যাপারে শতভাগ ন্যায্য সিদ্ধান্ত দেওয়া সম্ভব না।’