১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পেছনে মূল ভূমিকা ছিল পূর্ব বাংলার (বর্তমানে বাংলাদেশ) বাঙালি মুসলমানদের জনসমর্থন। পাকিস্তানে বাঙালিরাই ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই ভাষাকে কেন্দ্র করে বাঙালির মোহভঙ্গ ঘটে। নব প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তানের কেন্দ্রে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, উর্দু ও ইংরেজি হবে পাকিস্তানের সরকারি ভাষা।

এই সিদ্ধান্ত পূর্ব বাংলার মানুষের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে ১৯৪৭ সালের ৬ ডিসেম্বর। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে এদিন যে আন্দোলনের সূচনা হয় তার সফল পরিণতি ঘটে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদের রক্তদানের মাধ্যমে।

পরবর্তীতেও পাকিস্তানি রাষ্ট্রকাঠামোর ভেতরে বাঙালিরা একের পর এক অপরিসীম বঞ্চনার শিকার হয়। এ কারণে ১৯৫০-এর দশক থেকে ’৬০-এর দশক পর্যন্ত মুহুর্মুহু আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে বাঙালির মনে ক্রমশ মুক্তির আকাঙ্ক্ষা গেড়ে বসতে থাকে। অচিরেই সেই দাবি ধাবিত হয় স্বাধীনতার দিকে। এর ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাঙালি পেয়েছে স্বাধীনতা ও সার্বভৌম একটি রাষ্ট্রও। বাঙালির এটি মহত্তম অর্জন।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে নানা তথ্য, লেখা, পর্যালোচনা, নথি, ছবি ও ভিডিও দিয়ে চিরন্তন ১৯৭১ প্রথম আলো ওয়েব সাইটটি সাজানো। এই সাইটের যাত্রা শুরু ২০২১ সালে।