এক ব্যবহারকারী চারটি ডিভাইসে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন

বর্তমানে একসঙ্গে কেবল একটি স্মার্টফোনে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা যায়পেকজেলস

প্রথমবারের মতো স্মার্টফোন ছাড়াই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের সুবিধা পরীক্ষা করে দেখছে ফেসবুকের মালিকানাধীন যোগাযোগের এই সেবা।

বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে হয় স্মার্টফোনে। ডেস্কটপ অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটে সে সুবিধা পেলেও তা মূলত স্মার্টফোন অ্যাপের প্রতিলিপি। ডেস্কটপে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের সময় স্মার্টফোন থেকে অনুমতি দিতে হয়, আবার ইন্টারনেটে যুক্তও রাখতে হয়।

নতুন সুবিধায় ব্যবহারকারীর ‘স্মার্টফোনের ব্যাটারির চার্জ ফুরিয়ে গেলেও বার্তার আদান-প্রদান বন্ধ হবে না।’

হোয়াটসঅ্যাপের ভাষ্যমতে, পিসি এবং ট্যাবের মতো সর্বোচ্চ চারটি ডিভাইসে একসঙ্গে অ্যাপটি ব্যবহার করা যাবে। শুরুতে অল্প কিছু ব্যবহারকারীর জন্য পরীক্ষামূলকভাবে সেটি ছাড়া হবে। গবেষণা ও উন্নয়নপর্ব শেষে উন্মুক্ত করা হবে সবার জন্য।

এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের ব্যাপারে হোয়াটসঅ্যাপ বরাবরই জোর গলায় কথা বলে। এতে কোনো বার্তায় প্রেরক ও প্রাপক ছাড়া আর কেউ নজর রাখতে পারে না বলে দাবি তাদের। নতুন সিস্টেমেও সেটি কাজ করবে বলে জানিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ।

সিগন্যালসহ প্রতিদ্বন্দ্বীদের সেবায় এমন সুবিধা আগে থেকেই আছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। যেমন সিগন্যাল অ্যাপ থেকে প্রথমে নিবন্ধন করে নিলে এরপর স্মার্টফোন ছাড়াই বার্তা আদান-প্রদান করা যায়।

ব্লগ পোস্টে ঘোষণাটি দেওয়ার সময় ফেসবুকের প্রকৌশলীরা বলেছেন, কাজটি করার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ সফটওয়্যারের নকশা ঢেলে সাজাতে হবে। কারণ, হোয়াটসঅ্যাপের বর্তমান সিস্টেমের কেন্দ্রে আছে স্মার্টফোন অ্যাপ। সেখানেই ব্যবহারকারীর তথ্য সংরক্ষিত থাকে।

বর্তমানে একটি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট কেবল একটি স্মার্টফোনে ব্যবহার করা যায়। অন্য ডিভাইসে লগইন করতে চাইলে আগেরটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

নতুন মাল্টি-ডিভাইস সিস্টেম সে বাধা দূর করবে বলে জানিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। তখন পাঠানো বার্তার উৎস হিসেবে একক স্মার্টফোনের ওপর নির্ভর করতে হবে না। একই সঙ্গে ব্যবহারকারীর তথ্য নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে একাধিক ডিভাইসে হালনাগাদ করা সম্ভব হবে।

কারিগরি দিক থেকে দেখলে যে ডিভাইসগুলোতে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা হবে তার সবগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন ‘আইডেনটিটি কি’ ঠিক করে দেওয়া হবে। আর কোন কোন আইডেনটিটি কি একই ব্যবহারকারীর, সে হিসাব রাখবে হোয়াটসঅ্যাপ। এতে নিজস্ব সার্ভারে তথ্য সংরক্ষণের প্রয়োজন পড়বে না হোয়াটসঅ্যাপের। তথ্য ফাঁস হলে দায়ও নিতে হবে না তাদের।

তবে অ্যান্টি-ভাইরাস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইসেটের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ জেক মুর বলেছেন, নিরাপত্তায় যতই জোর দেওয়া হোক, একাধিক ডিভাইসে বার্তা থাকলে সেটি চিন্তার বিষয় তো বটেই। তাঁর ভাষায়, কেউ না কেউ খুঁত বের করার পথ খুঁজে বের করবেই।