যেভাবে ড্রোন দিয়ে বৃষ্টি নামিয়েছিল দুবাই

উচ্চ তাপমাত্রা মোকাবিলায় ড্রোনের সাহায্যে বৃষ্টি নামানোর প্রকল্প হাতে নিয়েছে দুবাই। বৃষ্টির পানি অপচয় না করে সংরক্ষণের উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে।

দুবাইয়ে বছরের বেশ কিছু সময়ে তাপমাত্রা অসহনীয় বোধ হয়আনস্প্ল্যাশ

বছরের বেশ কিছু সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) তাপমাত্রা অসহনীয় বোধ হতে পারে। বিশেষ করে দুবাইয়ে। বিজনেস ইনসাইডার বলছে, ওই সব সময়ে তাপমাত্রা ৪৮-৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠা সাধারণ ঘটনা।

বিজ্ঞানীরা এই সমস্যার একটা সমাধান বের করেছেন। উচ্চ তাপমাত্রা মোকাবিলায় কৃত্রিম প্রক্রিয়ায় বৃষ্টি ঝরানোর উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁরা। সংবাদমাধ্যম ভ্যানগার্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুবাইয়ে ড্রোনের সাহায্যে মেঘের মধ্যে বৈদ্যুতিক চার্জ সরবরাহ করা হচ্ছে। আর তাতে জলকণা ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টি হয়ে ঝরছে।

কৌশলটির নাম ‘ক্লাউড সিডিং’। কম বৃষ্টিপাতের অঞ্চলগুলোয় প্রয়োগ করা হয়। দুবাইয়ে সেটি কাজে লেগেছে বলতে হয়।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে বার্ষিক বৃষ্টিপাত বাড়ানোর জন্য দেড় কোটি ডলারের প্রকল্প হাতে নিয়েছে দেশটির সরকার। ক্লাউড সিডিং সেটারই অংশ।

প্রযুক্তিটি যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব রিডিংয়ের বিশেষজ্ঞদের তৈরি। প্রকল্পটিতে যুক্ত ছিলেন অধ্যাপক মার্টেন আমবম। তিনি বলেছেন, আমিরাতে পর্যাপ্ত মেঘ ছিল বলে এমন পরিস্থিতি তৈরি সম্ভব হয়েছে, যার ফলে বৃষ্টি হয়। কণাগুলো এক হয়ে আকারে পর্যাপ্ত বড় হলে বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে।

বৃষ্টির পানি ধরে রাখার কৌশল নিয়েও কাজ করছে ইউএই। দেশটির প্রায় ১৩০টি বাঁধ দিয়ে ঘেরা জলাশয়ের ধারণক্ষমতা ১২ কোটি ঘনমিটার।

ইউএইর ন্যাশনাল সেন্টার ফর মেটেওরোলজি অ্যান্ড সিসমোলজির পরিচালক আবদুল্লাহ আল-মানদুস বলেন, ‘পানি ধরে রাখার জন্য আরও বাঁধ তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। আমরা এক ফোঁটা পানিও অপচয় করতে চাই না।’

এমন ড্রোন ব্যবহার করে মেঘে বৈদ্যুতিক চার্জ সরবরাহ করা হয়