সংস্কারবাদীদের আলটিমেটামের সময় শেষ, পদত্যাগ না করার কথা জানালেন আইএসপিএবি সভাপতি

আইএসপিএবির লোগোসংগৃহীত

ইন্টারনেট সংযোগদাতাদের সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) বর্তমান নির্বাহী কমিটির (ইসি) সদস্যদের পদত্যাগ করার জন্য গত রবিবার ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিলেন সংগঠনের ‘সংস্কারবাদী’ সদস্যরা। এ জন্য আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হকের কাছে সাধারণ ইন্টারনেট ব্যবসায়ীদের পক্ষে ২৫ সদস্যের সই করা একটি চিঠিতে সাতটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেছিলেন তাঁরা। আজ মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটায় সংস্কারবাদীদের দেওয়া ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম শেষ হয়েছে। এরপর যোগাযোগ করা হলে পদত্যাগ করবেন না বলে প্রথম বলে জানিয়েছেন আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হক।

ইমদাদুল হক
সংগৃহীত

ইমদাদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের সংগঠনের সদস্য ২ হাজার ৩০০ জন। তাঁদের মধ্যে ২০ বা ৫০ সদস্য পদত্যাগ করার জন্য আলটিমেটাম দিয়েছেন। তাই আমরা কীসের ভিত্তিতে পদত্যাগ করব? গত আইএসপিএবি নির্বাচন বৈধভাবে হয়েছে। এখানে কোনো অনিয়ম হয়নি। তবে বর্তমান নির্বাহী কমিটিতে বিতর্কিত কেউ থাকলে আমরা সেটা নিয়ে আলোচনা করব।’

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবি না মানলে সংগঠনের সংস্কারবাদী সদস্যরা আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানিয়েছিলেন। এ বিষয়ে ইমদাদুল হক বলেন, ‘আইন তো সবার জন্য সমান। তাঁরা আইনের আশ্রয় নিতেই পারেন। তবে বিতর্কিত কেউ থাকলে সেটা আমরা বসে আলোচনা করতে পারি।’

সংস্কারবাদীদের পক্ষে আইএসপিএবির সাবেক সহসভাপতি ও এডিএন টেলিকমের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) আজহারুল হক চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘যেহেতু ৪৮ ঘণ্টা পার হয়ে গেছে, তাই আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব। আজ সন্ধ্যায় সবাই বৈঠক করে আগামীকাল বুধবার পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

প্রসঙ্গত, সংস্কারবাদীদের করা অভিযোগের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে গত জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় ইন্টারনেট-সেবা বন্ধে সদস্যদের মতামতের তোয়াক্কা না করে নির্বাহী কমিটির রাজনৈতিক অনুচরের ভূমিকা পালনের বিষয়। অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৮ জুলাই সারা দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করা নিয়ে সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলকের সুরে সুর মিলিয়ে গণমাধ্যমে লাগাতার মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারে অংশ নিয়ে আইএসপিএবির সুনাম ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।

অন্যান্য অভিযোগের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার নামে আর্থিক অনিয়ম, থানা ও উপজেলা আইএসপিদের স্বার্থ উপেক্ষা করা, ইজিএম ও ক্রয় কমিটি না করেই তহবিলের ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে কার্যালয়ের জন্য ফ্ল্যাট কেনা এবং সাবেক সংসদ সদস্য ও হুইপ নজরুল ইসলাম বাবুকে দিয়ে প্রহসনমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সরকারদলীয় ব্যক্তিদের নিয়ে কমিটি গঠন।